কলকাতা: এখনও পুরোপুরি ফিট নন মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে নিয়ে টালবাহানা চলছিলই। প্রায় এক বছরের কাছাকাছি ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছিলেন। রঞ্জির শেষের অংশ ও মুস্তাক আলিতে খেলেছিলেন। পারফরম্য়ান্সও বেশ ভালই ছিল। কিন্তু বিজয় হাজারে ট্রফির আগে ফের তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। এবার বিসিসিআইয়ের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হল এখনও পুরোপুরি ফিট নন জাতীয় দলের তারকা ডানহাতি পেসার। হাঁটুর সমস্যায় এখনও ভুগছেন শামি। বারবার হাঁটু ফুলে যাচ্ছে তাঁর। গোড়ালির সমস্যায় ভুগছিলেন। তা সেরে উঠেছে। এবার নতুন করে হাঁটুর সমস্যায় ভোগা শুরু বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা শামির।
গত বছর ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালের পর থেকে আর জাতীয় দলের জার্সিতে কোনও ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি শামি। তাঁর গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। বোর্ডের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। এনসিএতে রিহ্যাবও সেরেছিলেন। পুরোপুরি গোড়ালির সমস্যা থেকে সেরেও উঠেছেন শামি। কিন্তু সমস্য়া তৈরি হয়েছে বাঁ হাঁটু নিয়ে। ওয়ার্কলোড একটু বেশি হলেই হাঁটু বারবার ফুলে যাচ্ছে। একসঙ্গে অনেকগুলো ওভার করলেই বা দীর্ঘ সময় পর বোলিং করতে এলে বারবার এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরার পর রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার হয়ে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন শামি নভেম্বরে। সেখানে ৪৩ ওভার বল করেছেন তিনি। মুস্তাক আলি ট্রফিতে ৯টি ম্য়াচেই খেলেছেন। সেখানেই বোলিং অনুশীলন সেরে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের বিমানে উঠতে চেয়েছিলেন তারকা পেসার।
বোর্ডের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, এই মুহূর্তে হাঁটুর চিকিৎসার জন্য সময় প্রয়োজন। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ফের রাখতে হবে শামিকে। এই পরিস্থিতিতে বর্ডার গাওস্কর ট্রফির জন্য আর বিবেচনা করা হয়নি শামিকে।
উল্লেখ্য, মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি খেলার সময় নতুন করে নাকি হালকা চোট পেয়েছিলেন শামি। নিরঞ্জন শাহ স্টেডিয়ামে মধ্য প্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে বাংলার ফাস্টবোলার শামির পিঠে সমস্যা দেখা গিয়েছিল। ইনিংসের শেষ ওভার বল করার সময় শামি একটি বল আটকাতে গিয়ে পড়ে যান। পড়ে যাওয়ার পরেই তাঁকে বেশ অস্বস্তিতে দেখিয়েছে। পিঠ চেপে ধরেছিলেন শামি। এরপর মাঠের মধ্যেই মহম্মদ শামিকে পরীক্ষা করা হয়। তাঁর শুশ্রুষা শুরু হয়। শামি অবশ্য উঠে দাঁড়িয়ে নিজের ওভারটি শেষ করেছিলেন। যদিও তাঁর চোট নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন ছিলেন।