কলকাতা: দীর্ঘ ৩৬০ দিন মাঠের বাইরে কাটানোর পর সদ্য প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি। মধ্য প্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে বাংলাকে জিতিয়েছেন। সঙ্গে ব্যাট হাতেও দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন কার্যকরী ভূমিকা। ঝোড়ো ইনিংস খেলে লো স্কোরিং ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন।
ফের বাংলার জার্সিতে দেখা যাবে সেই মহম্মদ শামিকে (Mohammed Shami)। ঘরোয়া টি-২০ টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুস্তাক আলি (SMA T20) ট্রফিতে খেলবেন ডানহাতি ফাস্টবোলার। সোমবারই সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টের জন্য ২০ সদস্যের বাংলা দল বেছে নেওয়া হল। সেই দলে রাখা হয়েছে শামিকে।
রঞ্জি ট্রফিতে শামির দুরন্ত বোলিং দেখার পর থেকেই জোর জল্পনা শুরু হয় যে, বর্ডার গাওস্কর ট্রফিতে ভারতীয় দলে শেষ মুহূর্তে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের পেস বোলিং আক্রমণকে আরও ধারাল করে তুলতে শামিকে খেলানো উচিত বলেই দাবি তুলেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটারেরাও। শামি অস্ট্রেলিয়া সফরের ভারতীয় দলে পরের দিকে সুযোগ পাবেন কি না, এখনও প্রশ্ন রয়েছে। আপাতত বাংলার জার্সিতে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করতে মরিয়া শামি।
সামনেই আইপিএলের মেগা নিলাম। ২৪ ও ২৫ নভেম্বর জেড্ডায় বসছে মেগা নিলামের আসর। তার ঠিক আগের দিন, ২৩ নভেম্বর রাজকোটে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলা। সেই ম্যাচে খেলে নিলামের আগে নিজের দরো বাড়িয়ে নিতে চাইবেন শামি। যাঁকে এবার রিটেন করেনি গুজরাত টাইটান্স। শামিকে পেতে মুখিয়ে থাকবে সব দলই।
টি-২০ ফর্ম্যাটে বাংলার অধিনায়ক কে হবেন, তা নিয়েও আলোচনা চলছিল। দৌড়ে ছিলেন দুই সুদীপ - সুদীপ ঘরামি ও সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক করা হল সুদীপ ঘরামিকেই। গত মরশুমে বাংলাকে টি-২০ ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সুদীপ ঘরামি। তবে এবার ত্রিপুরা ছেড়ে বাংলায় ফেরা সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে অধিনায়ক করা নিয়েও কোনও কোনও মহল আগ্রহী ছিল। শোনা যাচ্ছে, শামিকে অধিনায়ক করার কথাও ভাবা হয়েছিল। কিন্তু বর্ডার গাওস্কর ট্রফিতে শেষ মুহূর্তে ডাকা হলে তাঁকে অস্ট্রেলিয়া উড়ে যেতে হবে। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ পুরো খেলতে পারবেন না। সেই কারণে সুদীপ ঘরামির ওপরই আস্থা রাখা হল।
দলে ফেরানো হল বাঁহাতি পেসার কণিষ্ক শেঠকে। রাখা হয়েছে অনূর্ধ্ব ২৩ দলের হয়ে নজরকাড়া প্রয়াস রায় বর্মনকে। যিনি আইপিএলে নিলামেও উঠছেন।
নির্বাচিত বাংলা দল: সুদীপ কুমার ঘরামি (অধিনায়ক), মহম্মদ শামি, অভিষেক পোড়েল (উইকেটকিপার), সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, শাহবাজ আমেদ, কর্ণ লাল, ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিক রায়চৌধুরী, শাকির হাবিব গাঁধী (উইকেটকিপার), রণজ্যোৎ সিংহ খইরা, প্রয়াস রায় বর্মন, অগ্নিভ পান (উইকেটকিপার), প্রদীপ্ত প্রামাণিক, সক্ষম চৌধুরী, ঈশান পোড়েল, মহম্মদ কাইফ, সূরয সিন্ধু জয়সওয়াল, সায়ন ঘোষ, কণিষ্ক শেঠ ও সৌম্যদীপ মণ্ডল।
হেড কোচ - লক্ষ্মীরতন শুক্ল
সহকারী কোচ - অরূপ ভট্টাচার্য ও শিবশঙ্কর পাল
আরও পড়ুন: মেসিকে নিশানা করে ছোড়া হয়েছে বোতল! ক্ষমা চাইলেন প্রতিপক্ষ শিবিরের ফুটবলার