নয়াদিল্লি: মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj), ভারতীয় দলের তারকা ফাস্ট বোলার। তাঁর দক্ষতা ও বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে কারুর যদি কোনওরকম সন্দেহ থাকে, তাহলে তা ইংল্যান্ড সিরিজ়ের পর দূর হয়ে যাওয়া উচিত। ওভালে সিরাজের ম্যাচ উইনিং বোলিংয়ের পর তো তাঁকে নিয়ে চারিদিকে ধন্য় ধন্য পড়ে যায়। যশপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) অনুপস্থিতিতে দলের হয়ে দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ জেতান তিনি। ঘটনাক্রমে, বুমরা না থাকলেই অন্তত পরিসংখ্যানের মতে সিরাজ আরও ক্ষুরধার হয়ে উঠেন। এর কারণটা ঠিক কী?

৪১ টেস্ট খেলা মহম্মদ সিরাজের বোলিং গড় ৩১.০৫। বুমরা খেললে সেই গড় বেড়ে ৩৫ হয়ে যায়, আর তাঁর অনুপস্থিতিতে সিরাজের বোলিং গড় কমে দাঁড়ায় ২৫। বুমরার অবর্তমানে সিরাজের স্ট্রাইক রেটও অনেক ভাল। বুমরার সঙ্গে জুটি বেঁধে বোলিং করলে সিরাজ প্রতিটি ৫৭ বলে উইকেট নেন। সেখানে তিনি একা খেললে ৪৪ বল অন্তরই মেলে সাফল্য। বুমরার অনুপস্থিতিতে কেন তাঁর পারফরম্যান্স এতটা ভিন্ন, ভাল? এই নিয়ে এবার সিরাজ নিজেই মুখ খুললেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভারতের তারকা বোলার জানান, 'আমার কাঁধে যখন দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখন সে যতই পাতি, গুরুত্বহীন সিরিজ় হোক না কেন, আমার পারফরম্যান্সটা বেশি ভাল হয়। বাড়তি দায়িত্ব পাওয়াটা আমার জন্য আনন্দদায়ক এবং সেটা আমার আত্মবিশ্বাসও বাড়ায়।'

বুমরার অনুপস্থিতিতে অনেকেই ওভাল ম্য়াচে ভারতের জয়ের আশা দেখছিলেন না। সেইসব সমালোচক, নিন্দুকদের থামানোর প্রয়োজন ছিল বলেও দাবি করেন সিরাজ।  'এজবাস্টনে লোকজন আমায় নিয়ে কথা বলছিল। সেই সব আলোচনা থামানোর সময় এসে গিয়েছিল। আমি সাধারণত নিজের কাজের দিকেই নজর দিই, লোকে কে কী বলছে সেটা এড়িয়ে যাই, কারণ ওঁরা আমার লড়াইটা জানেন না। তা সত্ত্বেও এটা মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। এটা থামানোটা দরকার ছিল। জাস্সি ভাই পিঠের চোটের কারণে ছিলেন না, তাই বোলিং বিভাগটা যাতে ইতিবাচক থাকে, সেই দায়িত্বটা আমি নিই। যাদের সঙ্গেই কথা বলি, তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছিলাম, আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছিলাম। কী কী করেছি আমরা, সেটা বলে উজ্জীবিত করছিলাম সবাইকে।' বলেন তিনি। 

বুমরার অনুপস্থিতিতে শুধু যে সিরাজের পারফরম্যান্সের উন্নতি হয় তাই না, ভারতের টেস্ট জয়ের পরিমাণও কিন্তু অনেকটাই বেড়ে যায়।