গল: দীর্ঘদিন তাঁর ব্য়াটে বড় রান আসছিল না। সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছিলেন তিনি। তবে গলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে (SL vs BAN 1st test) প্রথম ইনিংসে অনবদ্য শতরান হাঁকিয়ে নিজের কামব্যাক ঘটিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত (Najmul Hossain Shanto)। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসেও তাঁর ব্যাট থেকে এল শতরান। এই জোড়া শতরানেই ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে নতুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সার্কেলের প্রথম টেস্ট ম্যাচ ড্রয়েই শেষ হল। পাশাপাশি সমাপ্ত হল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ়ের বর্ণময় টেস্ট কেরিয়ারও।
শ্রীলঙ্কার তৃতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট রানসংগ্রাহক ম্যাথিউজ়ের শেষ টেস্ট বলে কথা। ম্যাচের আগে গোটা লাইমলাইটটাই তাই প্রাক্তন লঙ্কান অধিনায়কের উপরেই ছিল। তবে সেই লাইমলাইট দ্রুতই নিজের দিকে টেনে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। গলের পিচ শুরু থেকেই ব্যাটিং সহায়কই ছিল। সেই ব্যাটিং সহায়ক পিচে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের দুরন্ত শতরানে ভর করে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে সুবিশাল ৪৯৫ রান করেছিল। জবাবে শ্রীলঙ্কাও রানের পাহাড় খাড়া করে।
পাথুম নিসঙ্কার অনবদ্য ১৮৭ রানের ইনিংস ও কামিন্দু মেন্ডিসের ৮৭ রানে ভর করে দ্বীপরাষ্ট্র ৪৯৫ রানের জবাবে ১০ রান পিছিয়ে ৪৮৫ রান তোলে। বাংলাদেশের হয়ে নাঈম হাসান প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ যে ড্রয়ের দিকে এগোতে পারে তার সম্ভাবনাই বেশি ছিল। বাংলাদেশ সত্যি বলতে দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য তেমনভাবে ঝাঁপায়ওনি। ৮৭ ওভার ব্যাট করে ওপার বাংলার দল ছয় উইকেটে ২৮৫ রান তোলে। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশের হয়ে শান্ত ও মুশফিকুরই রান তোলেন।
শান্তর ব্য়াট থেকে আসে ১২৬ রানের ইনিংস, মুশফিকুর ৪৯ রান করেন। বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসাবে শান্ত উভয়ই ইনিংসেই ব্যাট হাতে শতরান করে ইতিহাস গড়েন। বিরাট কোহলি, স্যর ডন ব্র্যাডম্য়ান, সুনীল গাওস্করদের মতো কিংবদন্তিদের তালিকায় নাম লেখালেন শান্ত। তিনি ক্রিকেট ইতিহাসের মাত্র ১৬তম অধিনায়ক হিসাবে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করলেন। তবে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও, এই ইনিংসে ৭৬ রান করেন বাংলাদেশের ওপেনার শাদমান ইসলাম।
শ্রীলঙ্কার সামনে একদিনেরও কম সময়ে ২৯৬ রানের কার্যত অসম্ভব লক্ষ্য রাখে বাংলাদেশ। উপরন্তু, বৃষ্টির জন্য ওভারও নষ্ট হয়। তবে এই বিরাট রানের বিরুদ্ধেও শুরুটা বেশ আগ্রাসীভাবেই করেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু নিসঙ্কা আউট হতেই ড্রয়ের জন্যই খেলা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। তাঁদের চতুর্থ ইনিংস থামে চার উইকেটের বিনিময়ে ৭২ রানে। ম্যাচ ড্র হয়। নিজের শেষ টেস্ট ইনিংসে ম্যাথিউজ়ের সংগ্রহ আট রান।