লাহোর: বিরাট কোহলিকে টেক্কা দিলেন কেন উইলিয়ামসন। পাকিস্তানের মাটিতে ত্রিদেশীয় ওয়ান ডে সিরিজ খেলছে নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এদিন ম্য়াচ ছিল নিউজিল্য়ান্ডের। যে ম্য়াচে ১১৩ বলে ঝোড়ো ১৩৩ রানের ইনিংস খেললেন প্রাক্তন কিউয়ি অধিনায়ক। কেরিয়ারের ১৪ তম ওয়ান ডে শতরান হাঁকালেন উইলিয়ামসন। একই সঙ্গে ৬ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল নিউজিল্য়ান্ড। গদ্দাফি স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৩০৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়েই জয় ছিনিয়ে নিল নিউজিল্য়ান্ড।


আর এদিন শতরান হাঁকানোর পথেই উইলিয়ামসন টেক্কা দিলেন বিরাট কোহলিকে। কিউয়িদের মধ্যে দ্রুততম ব্যাটার হিসেবে ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে ৭ হাজার রান পূরণ করার নজির গড়েছেন তিনি। বিশ্ব ক্রিকেটে দ্বিতীয় দ্রুততম হিসেবে এই নজির গড়লেন তিনি। টপকে গেলেন কোহলিকে। এবি ডিভিলিয়ার্স, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রোহিত শর্মা, ব্রায়ান লারাদেরও টেক্কা দিয়ে দিলেন কেন উইলিয়ামসন। কেন ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে ১৫৯ ইনিংস সময় নিলেন ৭ হাজার রান পূরণ করতে। অন্যদিকে বিরাট কোহলি ১৬১ ইনিংস সময় নিয়েছিলেন। তালিকায় সবার আগে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হাসিম আমলা। ১৫০ ইনিংস সময় নিয়েছিলেন তিনি। 


এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্য়াচ হারলেও নজির গড়লেন তরুণ প্রোটিয়া ওপেনার ম্যাথু ব্রিৎজকে। ওয়ান ডে ক্রিকেট শুরু হয়েছে ৫৪ বছর ধরে। ৪৭ বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেসমনি হেয়ন্স ১৯৭৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৪৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সেটিই ছিল অভিষেক ওয়ান ডে ইনিংসে এতদিন ব্যক্তিহত সর্বোচ্চ রান। কিন্তু তাঁকেও টেক্কা দিয়ে দিলবেন প্রোটিয়া ওপেনার।


২০২১ সালে আফগানিস্তানের উইকেট কিপার ব্যাটার রহমনউল্লাহ গুরবাজ অভিষেক ওয়ান ডে ইনিংসে ১২৭ রান করেছিলেন আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কলিন ইনগ্রাম জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১২৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ওয়ান ডে অভিষেকে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ইনিংসের মাঝে ম্য়াথু বলেন, ''আমি ক্রিজে টিকে থাকতে চেয়েছিলাম। নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোটাই প্রথম লক্ষ্য ছিল আমার। ক্রিজে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি।'' উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৪ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছে নির্ধারিত ৫০ ওভারে। 


চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজে এখনও পর্যন্ত দুটো ম্য়াচ খেলেছে নিউজিল্য়ান্ড। দুটো ম্য়াচেই তারা জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। একটি করে ম্যাচ খেলে এখনও জয়ের খাতা খুলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান।