মুম্বই: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের পর অনেক অঙ্কই বদলে গিয়েছ। সাদা বলের ফর্ম্যাটে দল বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও এবার অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ফলকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। সেখানে শুধু ব্যতিক্রম বিরাট ও রোহিত। কিন্তু বাকিদের ক্ষেত্রে ফর্ম না থাকলে দল থেকে ছেঁটে ফেলার পথেই হাঁটতে চলেছেন বোর্ড। এমনকী রোহিতের ডেপুটি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও পারফরম্য়ান্স বিচার্য বিষয় হয়ে উঠেছে। যার জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারতীয় দলে রোহিতের ডেপুটি হিসেবে একেবারে নতুন মুখ বেছে নেওয়া হতে পারে। সেখানেই নেই গিল ও হার্দিকের নাম।


২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সময় রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারত ফাইনাল খেলেছিল। সেই টর্নামেন্টে হার্দিক পাণ্ড্য ডেপুটি ছিলেন রোহিতের। পরে যদিও টুর্নামেন্টের মাঝপথেই ছিটকে যান বঢোদরার অলরাউন্ডার চোটের জন্য। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজে অবশ্য সাদ বলের ফর্ম্যাটে শুভমন গিলই সহ অধিনায়ক ছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজে তাঁর পারফরম্য়ান্সও চিন্তার কারণ ছিল নির্বাচকদের কাছে। অন্য়দিকে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটের পর টেস্ট ফর্ম্য়াটেও নেতৃত্বগুণে নির্বাচকদের আস্থা অর্জন করেছেন জসপ্রীত বুমরা। তাই আপাতত বুমরাকেই সহ অধিনায়ক হিসেবে ভাবছে টিম ম্য়ানেজমেন্ট। বিসিসিআইয়ের তরফে মোটমুটি এটাও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে যে রোহিতই অধিনায়ক হিসেবে খেলতে নামবেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। 


তবে এখানে সমস্যা একমাত্র বুমরার ফিটনেস। সিডনি টেস্টে পিঠে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। বল হাতে পরে আর তাঁকে দেখা যায়নি। আপাতত এনসিএতে রিহ্যাব সারবেন তারকা পেসার। ইংল্যান্ড সিরিজে হয়ত পুরোটাই বিশ্রাম দেওয়া হবে ডানহাতি পেসারকে। এমনকী, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও বল হাতে বুমরাকে দেখা যাবে কি না তা এখনই বলা সম্ভব নয়। আপাতত ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্য়াকাডেমিতে রিহ্যাবে রয়েছেন তিনি। যদি গ্রেড ১ চোট হয়, তবে অন্তত ২-৩ সপ্তাহ লেগে যাবে। গ্রেড ২ চোট হলে সময় লাগবে ৬-৮ সপ্তাহ। আর যদি গ্রেড ৩ চোট হয়, তবে ৩ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে পুরো ফিট হয়ে উঠতে।


অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে সিরিজে দুটো ম্য়াচে নেতৃত্ব দিয়েছেন বুমরা। পারথে প্রথম ম্য়াচে বুমরার নেতৃত্বেই ২৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারতীয় দল। সিডনি টেস্টে হারলেও শেষর দিকে মাঠেই ছিলেন না তারকা পেসার। তবে অধিনায়ক হিসেবে তাঁর সিদ্ধান্তগুলো নজর কেড়েছে কঠিন সিরিজে।