মুম্বই: ইএসপিএন ক্রিকইনফোর নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী ফের একবার আইসিসি ওয়ান ডে সুপার লিগ শুরু হতে চলেছে। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটের পর থেকে ক্রমেই ওয়ান ডে ফর্ম্য়াট থেকে দর্শকদের আগ্রহ ক্রমেই কমে যাচ্ছে। যার জন্য আইসিসির তরফে এই ওয়ান ডে সুপার লিগ শুরু করার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।
কিন্তু এই ওয়ান ডে সুপার লিগ আসলে কী?
২০১৯ বিশ্বকাপের পর একমাত্র ওয়ান ডে সুপার লিগ খেলা হয়েছিল। এটি ১২ দল নিয়ে হয়েছিল। তার মধ্য়ে পূর্ণ সময়ের আইসিসি সদস্যপদ পাওয়া দল তো রয়েইছে, এমনকী নেদারল্যান্ডসও খেলেছিল। প্রতিটি অংশগ্রহণকারী দলের তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সম্ভাব্য ১২টি প্রতিপক্ষের মধ্যে আটটি খেলার কথা ছিল। এই সিরিজের মধ্যে চারটি ঘরের মাঠে এবং চারটি ঘরের বাইরে অনুষ্ঠিত হবে।
ওয়ান ডে সুপার লিগের সেরা সাতটি দল নিশ্চিতভাবেই পরবর্তী ওয়ান ডে বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে নেবে। বাকিরা যোগ্যতা অর্জন পর্বের বাধা টপকে মূল টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে।
এছাড়াও আগামী ২০২৭-২০২৯ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজিত হতে পারে ১২ দল নিয়ে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল যে দুটো বিভাগে করা হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১২ দলেই নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ মরশুম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। এমনকী ৩২ দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করার ভাবনা রয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার।
গত সপ্তাহে দুবাইয়ে যে আইসিসির বোর্ড মিটিং হয়েছিল, সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপকে দু’টি ডিভিশনে ভাগ করার প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেল আইসিসির বৈঠকে। উল্লেখ্য়, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। বিরোধিতা করেছে ইংল্যান্ডও। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান রিচার্ড থম্পসন কিছু দিন আগে বলেছিলেন, ‘‘আমরা এই ধরনের ব্যবস্থা চাই না। যে ভাবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চলছে, সে ভাবেই চলুক। আমরা যদি দ্বিতীয় ডিভিশনে নেমে যাই তা হলে অস্ট্রেলিয়া বা ভারতের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাব না। প্রথম ডিভিশনের যে কোনও দলের ক্ষেত্রেই এটা হতে পারে। এ ভাবে হতে পারে না।''
প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাব জিতে নিয়েছিল নিউজিল্য়ান্ড। দ্বিতীয়টি অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দুবারই রানার্স আপ হতে হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। শেষবার দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে খেতাব জিতে নেয়।