আমদাবাদ: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরেই বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে (Narendra Modi Stadium) খেতাবি লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া (India vs Australia)। দুই দশক আগে এই দুই দলই বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। সেইবার জোহানেসবার্গে রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলকে। এবার তাই ভারতীয় সমর্থকরা চাইছেন রোহিত শর্মারা যেন অজ়িদের হারিয়ে সেই পরাজয়ের বদলা নেন।


এমন ক্ষেত্রে অতীতের সঙ্গে তুলনা টেনে আনা, বদলা নেওয়ার মনোভাব, সবটাই কিন্তু প্রায়শই হয়ে থাকে। তাই এবার ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল ম্যাচের সঙ্গে ২০০৩ সালের ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের মিল খুঁজতে অনেকেই আগ্রহী। কাকতালীয় হলেও, দুই দশকের ব্যবধানে আয়োজিত দুই ফাইনালে কিন্তু বেশ কিছু মিল রয়েছে। কী সেই মিলগুলি?


১৯৮৭ এবং ১৯৯৯ সালে দুইবার বিশ্বজয়ের পর ২০০৩ সালে তৃতীয় বিশ্বখেতাব জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল। ভারতীয় দলও ১৯৮৩ সাল ও ২০১১ সালের পর এবার তাঁদের তৃতীয় ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে আমদাবাদে মাঠে নামবে। 


২০০৩ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দল নিজেদের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জয়ের পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়েছিল। কিন্তু তারপরে সৌরভের টিম ইন্ডিয়া টানা আট ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছয়। প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়াও এবারের বিশ্বকাপের বিশ্বকাপের শুরুতে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারের পর নাগাড় আট ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে।


দুই দলের দখলেই বিশ্বকাপে নাগাড়ে ১০ ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে। ২০০৩ এবং ২০০৭ সালে পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়া এই কৃতিত্বটি করেছিল। এ বছর রোহিতের ভারতও ১০ ম্যাচ জিতে নিয়েছে ইতিমধ্যেই। দুই দশক আগে অজ়িরা ১১তম ম্যাচ জিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ভারতীয় দলের সামনেও নাগাড়ে ১১ ম্যাচ জিতে বিশ্বজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।


এখানেই শেষ নয়। ২০০৩ এবং ২০২৩ সালের মধ্যে আরও মিল রয়েছে। ২০০৩ সালে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ শক্তিশালী করার জন্য রাহুল দ্রাবিড়ের হাতে কিপিং দস্তানা তুলে দিয়েছিলেন সৌরভ। এবারও ভারতের হয়ে উইকেটের পিছনে আরেক রাহুল রয়েছেন। সেবার দ্রাবিড় মিডল অর্ডারে ব্যাট করে ১১ ম্যাচে ৩১৮ রান করেছিলে। তাঁকে আইডল মনে করা কেএল রাহুলও চলতি বিশ্বকাপে অনবদ্য ফর্মে। ১০ ম্যাচে রাহুলের সংগ্রহ ৩৮৬ রান। 


সেই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। 'লিটল মাস্টার' ২০০৩ বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচে ৬৭৩ রান করেছিল। সেটা তৎকালীন এক বিশ্বকাপ কোনও ব্যাটারের সর্বাধিক রান ছিল। এবারও আরেক ভারতীয়ই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। তিনি বিরাট কোহলি। সচিনের সেই সর্বাধিক রানের রেকর্ড ভাঙেন কোহলি। আপাতত ১০ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ মোট ৭১১ রান। সুতরাং, ২০০৩-র সঙ্গে ২০২৩-র তুলনা টেনে আনাটা কিন্তু সম্পূর্ণ অবাস্তব, তা বলা যাবে না।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে আগুন ঝরাচ্ছেন শামি, সুফল পাচ্ছে তাঁর গ্রাম, সাহসপুরে তৈরি হচ্ছে স্টেডিয়াম, জিম