দুবাই: আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। এরপর মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দামামা বাজতে চলেছে। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল তাঁদের প্রথম ম্য়াচ খেলতে নামবে আগামী ৪ অক্টোবর শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। গত কয়েক বছরে একেবারে তীরে এসে তরী ডুবেছে হরমনপ্রীত, স্মৃতিদের। তবে এবার আর কোনও ভুল করতে নারাজ তাঁরা। নিজেদের টুর্নামেন্টে অভিযান শুরুর আগে লক্ষ্যস্থির করে ফেলেছেন দলের তারকা ওপেনার শেফালি ভার্মা। খেতাব জয় ছাড়া আর কিছু ভাবতেই নারাজ তিনি। 


ব্য়াট হাতে নিজের রেকর্ড গড়া বা পারফর্ম করার থেকেও দল হিসেবে যদি খেতাব জিততে পারেন সেটাই বেশি তৃপ্তি দেবে তাঁকে, এমনটাই জানিয়ে দিলেন শেফালি। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেফালি বলেন, ''আমাদের সবার একটাই লক্ষ্য, ট্রফি জেতা। ব্যক্তিগত পারফরম্য়ান্স, রেকর্ড সবই ঠিক আছে। ওগুলো খেলার অঙ্গ। কিন্তু দল যদি খেতাব জেতে, তার থেকে সেরা অনুভূতি আর কিছু হতে পারে না।''


এখনো পর্যন্ত দেশের জার্সিতে ৫টি টেস্ট খেলেছেন শেফালি। ১০ ইনিংসে ৫৬৭ রান করেছেন। ১টি শতরান ও তিনটি অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২০৫। ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে মােট ২৬টি ম্য়াচ খেলে ৫৮৮ রান করেছেন। 


২০১৯ সালে অভিষেকের পর থেকে ৮১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১৯৪৮ রান করেছেন শেফালি। ১০টি অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন এই তরুণী। সর্বোচ্চ ৮১। শেফালি বলছেন, ''কেরিয়ারের শুরুর দিকে যখন খেলতাম তখন আমি মাঠে নামতাম আর ব্যাট হাতে চালিয়ে খেলার চেষ্টা করতাম প্রথম বল থেকেই। কিন্তু এখনও আমার ভাবনা চিন্তা বদল হয়েছে। এখন পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করার কথা ভাবি।''


প্রস্তুতি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলা দলকে ২৮ রানে হারাল ভারত। দুবাইয়ে আইসিসি অ্যাকাডেমির মাঠে (ICC Academy Ground in Dubai) প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দাপট দেখালেন হরমনপ্রীত কৌর (Harmanpreet Kaur), জেমাইমা রদ্রিগেজরা। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেই জিতল ভারত। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০ রানে হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।


নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারতের স্কোর ছিল ১৪৪/৭। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যায় ১১৬/৬ স্কোরে। ভারতের তিন বোলার - পূজা বস্ত্রকার, রেণুকা সিংহ ও অরুন্ধতী রেড্ডির শুরুর স্পেল সতর্কভাবে খেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের হয়ে প্রোটিয়া শিবিরে প্রথম ধাক্কা দেন আশা সোভানা। দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা মন্থর হয়েছিল। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে তারা। বিনা উইকেটে ৩৭ থেকে দ্রুত ৬৬/৪ হয়ে যায়। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১৬ রানে আটকে যায় তারা।