নয়াদিল্লি: পহেলগাঁও কাণ্ড (Pahalgam Attack) পুরোটাই ভারতের তৈরি করা কাহিনি! ভারতীয় সেনার ব্যর্থতাতেই প্রাণ হারিয়েছেন নিরীহ মানুষ। পাকিস্তানকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই গোটা ঘটনার সূত্রপাত!
ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক বোমা ফাটালেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি (Shahid Afridi)। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার ঘটনা ভারতীয় সেনাবাহিনির ব্যর্থতা বলে তোপ দেগেছেন আফ্রিদি। তিনি বলেছেন যে, ভারত নিজেই মানুষ মারে এবং তারপর নিজেই বলে যে তারা জীবিত আছে।
শাহিদ আফ্রিদি দাবি করেছেন, পহেলগাঁও কাণ্ডে পাকিস্তানের যোগ আছে বললেই হবে না, প্রমাণ দিতে হবে ভারতকে। তিনি বলেছেন যে, ভারত অভিযোগ করার আগে প্রমাণ করুক যে এই হামলায় পাকিস্তানের হাত ছিল।
আফ্রিদি কী বলেছেন
আফ্রিদি বলেছেন, ''পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি বলব যে, খেলাধুলার কূটনীতি নিয়ে আমার খুব দৃঢ় অবস্থান আছে। এ নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। আমরা প্রতিবেশি দেশ, একে অপরের খেয়াল রাখা উচিত। তবে আমি এটাও বলব যে, যখন সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে, তখন আপনি তৎক্ষণাৎ পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছেন। এটা উচিত নয়। এতে পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট হয়। যেখানে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে সেখানে আপনার ৮ লক্ষ সৈন্য আছে। কেন কোনও সৈন্য মানুষদের বাঁচাতে আসেনি? নিজেরাই ভুল করে, নিজেরাই মানুষদের মারে এবং তারপর নিজেরাই বলে যে তারা জীবিত আছে। এটা উচিত নয়।''
যদিও এই মন্তব্যের পর তুমুল সমালোচনার শিকার আফ্রিদি। নেটিজেনরা ধিক্কার জানিয়েছেন প্রাক্তন পাক তারকাকে।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার ৬ দিনের মাথাতেও জালে আসেনি হামলায় জড়িত কোনও জঙ্গি। বৈসরন লাগোয়া কিশতোয়ার ও ডোডার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সেনাবাহিনি। হামলার পর জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকতে পারে কিশতোয়ারে, সন্দেহ গোয়েন্দাদের। উড়ন্ত ড্রোনে মিলছে গতিবিধির প্রাথমিক হদিশ। আশেপাশে স্থানীয়রা থাকায় প্রত্যাঘাতে সমস্যা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, হামলার সময় উপত্যকায় সক্রিয় ছিল স্যাটেলাইট ফোন। চিনে তৈরি স্যাটেলাইট ফোন পাকিস্তান হয়ে পাচার হয়েছে ভারতে, সন্দেহ গোয়েন্দাদের।