করাচি: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) থেকেই তাঁর ব্যাট কথা বলছিল না। একের পর এক ইনিংসে ফ্লপ। নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। কিন্তু সব সমালোচনাকে মাঠের বাইরে ফেললেন বাবর আজম। নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে করাচি টেস্টে হাঁকালেন অপরাজিত শতরান। দিনের শেষে ১৬১ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। এদিন রেকর্ডও গড়েন বাবর। পাক ব্যাটার হিসেবে এক ক্যালেন্ডার বর্ষে সবচেয়ে বেশি রান করার নজির গড়লেন বাবর। তিনি টপকে গেলেন ২০০৬ সালে মহম্মদ ইউসুফের করা ২৪৩৫ রানের রেকর্ড। এদিন অর্ধশতরান পূরণ করার সঙ্গে সঙ্গেই মহম্মদ ইউসুফকে টেক্কা দেন বাবর।


 






কিছুদিন আগেই ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। তিনটি টেস্ট হেরেছিল তারা। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবরকে নেৃতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠতে থাকে। কিন্তু সেই সময়ই শাহিন আফ্রিদি, হ্যারিস রাউফরা ট্যুইটে বাবরের পাশে দাঁড়ান। কিন্তু পিসিবি যদিও এই বিষয়টিকে হাল্কাভাবে নেয়নি। তাদের তরফেও এরকম ট্যুইট না করার নির্দেশ দেওয়া হয়ে ২ তারকা পেসারকে। এরপরই ২ জনে সেই ট্যুইট মুছে দেন। খুব সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট বাের্ডেও রদবদল হয়েছে। মনে করা হচ্ছে যে দলেও হয়ত বাবরের ক্ষমতা কমতে পারে। কিন্তু এদিন সেঞ্চুরি করে শেষ পর্যন্ত সব নিন্দুকদের জবাব দিলেন যে তিনি ফুরিয়ে যাননি। 


করাচি টেস্টের প্রথম দিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। টপ অর্ডারে সেভাবে কেউ রান না পেলেও হাল ধরেন ক্যাপ্টেনই। প্রাক্তন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে জুটি বাঁধেন তিনি। সরফরাজ ৮৬ রান করে ফিরে গেলেও ২৭৭ বলে ১৬১ রান করে ক্রিজে আছেন বাবর। হাঁকিয়েছেন ১৫টি বাউন্ডারি ও ১টি পেল্লাই ছক্কা।  এমনকী ১৯৭-এ থাকাকালিন ব্রেসওয়েলকে ছক্কা হাঁকিয়েই নিজের শতরান পূরণ করেন ডানহাতি পাক তারকা। দিনের শেষে পাকিস্তানের স্কোর ৫ উইকেট হারিয়ে ৩১৭। বাবরের সঙ্গে ক্রিজে আছেন আঘা সলমন।