কলকাতা: আগামী আইপিএলের আগে চলতি বছরের শেষে মেগা নিলাম রয়েছে। গত মরশুমে শ্রেয়স আইযারের নেতৃত্বে কেকেআর আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। গৌতম গম্ভীরের অধিনায়কত্বে ২০১২ ও ২০১৪ সালে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কেকেআর। এরপর গত মরশুমে শ্রেয়স আইয়ারের অধিনায়কত্বে ফের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নাইট শিবির।
কিছুদিন আগেই আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে যে চলতি বছর নিলামের আগে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁদের ৬ জন পুরনো প্লেয়ারকে রিটেইন করত পারবে, অর্থাৎ ধরে রাখতে পারবে। গত মরশুমের মোট ছয়জন ক্রিকেটারকে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি ধরে রাখতে পারবে। এই ক্রিকেটারদের সকলকেই যে রিটেনশনের মাধ্যমে ধরে রাখতে হবে, তা নয়। রিটেনশন এবং আরটিএম কার্ড মিলিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা মোট ছয় প্রাক্তনীকে দলে রাখতে পারবে। তবে শর্ত এটাই যে সেই ছয়জন ক্রিকেটারের মধ্যে দেশি ও বিদেশি মিলিয়ে মোট ছয়জন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা তারকা এবং সর্বোচ্চ দুইজন আনক্যাপড ক্রিকেটারকে ধরে রাখা যাবে।
কোন কোন প্লেয়ারকে রিটেইন করতে পারে কেকেআর?
শ্রেয়স আইয়ার: কেকেআরকে অধিনায়ক হিসেবে আইপিএল জিতিয়েছেন। এছাড়াও ব্যাটার হিসেবেও বেশ সফল আইয়ার। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে ১১৫ ম্য়াচে মোট ৩১২৭ রান করেছেন। ২১টি অর্ধশতরান রয়েছে ঝুলিতে। নেতৃত্বের ক্ষমতা, দক্ষ ব্যাটার ও দুরন্ত ফিল্ডার শ্রেয়স। তাই শ্রেয়সকে অবশ্য়ই রিটেইন করবে কেকেআর।
আন্দ্রে রাসেল: এই দলটির বহু যুদ্ধের নায়ক। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার ব্যাটে-বলে একাধিক ম্য়াচে একার হাতেই জিতিয়েছেন কেকেআরকে। অনেক ম্য়াচে কেকেআরের দখলে নিয়ে এসেছিলেন রাসেলই। ২০২৫ সালের আইপিএল মরশুমের আগে রাসেলকেও নিশ্চিতভাবেই রিটেইন করা হবে।
রিঙ্কু সিংহ: হঠাৎ করেই ২০২৩ আইপিএল মরশুম থেকে রিঙ্কু সিংহ যেন হয়ে উঠেছিলেন টক অফ দ্য ফ্র্য়াঞ্চাইজি। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা হাঁকানো, যা তাঁকে বিশ্বমঞ্চে আলাদা পরিচিতি তৈরি করে দিয়েছিল। জাতীয় দলেও ডাক পেয়েছিলেন। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রিঙ্কুকে। এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্য়তম সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটার। রিঙ্কুকেও রিটেইন করবে নিশ্চিতভাবেই কেকেআর।
মিচেল স্টার্ক (RTM)
২০২৪ আইপিএলের আগে নিলামে ২৪.৭৫ কোটি অর্থে মিচেল স্টার্ককে দলে নিয়েছিল কেকেআর। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে একেবারেই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি বাঁহাতি অজি পেসার। কিন্তু টুর্নামেন্ট যত এগিয়েছে, ততই স্টার্ক নিজের উপস্থিতির পরিচয় দিয়েছিল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ফাইনালে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। নিজের ৩ ওভারের স্পেলে ১৪ রান করে দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।