নাগপুর: কোল সি কে নাইডু ট্রফিতে বিদর্ভর বিরুদ্ধে খেলছে অনূর্ধ্ব ২৩ বাংলা দল। ম্য়াচে প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় দিনের শেষে বিদর্ভ ১৯৪/৭ রান তুলেছে বোর্ডে। বাংলা দলের হয়ে দুরন্ত বোলিং করলেন স্পিনার প্রয়াস রায় বর্মণ। নাগপুরে আয়োজিত এই ম্যাচে তিনি দলকে বোলিং বিভাগে নেতৃত্ব দিলেন। একাই তুলে নিলেন ৩ উইকেট। রবিবার দ্রুত বাকি তিন উইকেট তুলে নেওয়াই লক্ষ্য থাকবে বাংলা শিবিরের।
বাংলা নিজেদের প্রথম ইনিংসে এর আগে ৩৩৩ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল। ব্যাট হাতে দলের হয়ে সেরা পারফর্ম করেছিলেন সুমিত নাগ। তিনি ৭০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এছাড়াও অনুজ কুমার সিংহ ৬২ রান করেছিলেন। গৌতম ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। লোয়ার অর্ডারে রবি কুমার ৩৯ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। রাহুল প্রসাদ ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। মূলত এই দুজনের পার্টনারশিপের সৌজন্যেই বাংলা বোর্ডে ৩৩৩ রান তুলে নিতে পেরেছিল। রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে প্রয়াস ৩৭ রান খরচ করে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। এছাড়াও নারায়ণ রানা ৩২ রানে ২ উইকেট নেন। হর্ষ দেব গৌতম ২৯ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন। ইরফান আফতাব ৩৫ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট নেন।
এদিকে, রঞ্জি ট্রফিতে কর্ণাটক ম্য়াচে ড্র করল বাংলা। রঞ্জি ট্রফিতে এই মরশুমে এখনও প্রথম সরাসরি জয় অধরাই রইল বাংলা দলের। অনুষ্টুপ মজুমদারের দলের ম্যাচের শেষদিন থেকে প্রাপ্তি বলতে সুদীপ ঘরামির ফর্মে ফেরা এবং তরুণ সূরয সিন্ধু জয়সওয়ালের ভাল বোলিং। বল হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনটি করে মোট ছয়টি উইকেট নেন সূরয। সুদীপ ঘরামি নিজের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের কেরিয়ারের পঞ্চম শতরানটি হাঁকালেন। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে দুই মরশুম আগে সেমিফাইনালের পর এটাই তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি। তিনি রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে তিনে ব্যাট করতে নেমে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে সেঞ্চু হাঁকালেন। ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন সুদীপ।
একসময় ১৬০ রানে বাংলা পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। সেই সময় সুদীপকে সঙ্গে দিতে ক্রিজে নামেন অভিজ্ঞ ঋদ্ধিমান সাহা। নিজের শেষ মরশুম খেলা ঋদ্ধি দেখালেন তিনি কিন্তু এখনও ফুরিয়ে যাননি। দুরন্ত আগ্রাসী মেজাজে তিনি ৭০ বলে অপরাজিত ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল সাতটি চার ও একটি ছক্কায়।