মুম্বই: গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে চ্য়াম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া। রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিং কেরিয়ারও শেষ হয় তার সঙ্গে সঙ্গেই। তাঁর অধীনে ভারত তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল, ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ফাইনাল ও ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল। কিন্তু তার মধ্যে একমাত্র শেষের ফাইনালটি খেতাব জিততে পারে ভারত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাহুল দ্রাবিড়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে নিজের কোচিং কেরিয়ারের সবচেয়ে নেতিবাচক মুহূর্ত কোনটি ছিল? সেই সময় ভারতের প্রাক্তন কোচ স্মৃতিচারণায় জানান, ২০২১-২২ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজে হারের স্মৃতিই এখনও ক্ষত হিসেবে রয়েছে গিয়েছে দ্রাবিড়ের জীবনে।


প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ও প্রাক্তন ভারতীয় কোচ বলেন, ''আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময় কোনটা কোচ হিসেবে থাকার সময়। তবে আমি অবশ্যই বলব যে শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের কথা। সেখানে সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্ট জিতেছিলাম আমরা। সিরিজ জয়ের সুযোগ ছিল আমাদের কাছে। কিন্ত এরপরই দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টে আমাদের হারতে হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এর আগে কখনও টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি ভারতীয় ক্রিকেট দল। এবার সেই সুযোগ ছিল। কিন্তু আমরা তা মিস করেছিলাম।''


এরপরই দ্রাবিড় আরও বলেন, ''আমাদের অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার সেই সিরিজে ছিল না দলে। রোহিত শর্মার চোট ছি সেই সিরিজে। তবে ওই ২টি টেস্ট ম্যাচে জয়ের খুব কাছেই ছিলাম। তৃতীয় ইনিংসে আমাদের সামনে ভালো সুযোগ ছিল। সেখান থেকে অল্পের জন্য জিততে পারিনি আমরা। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা ভাল খেলেছে। শেষ ইনিংসে রান তাড়া করে জিতে নেয় প্রোটিয়া বাহিনী।''


কিছুদিন আগেই প্যরিস অলিম্পিক্সের মঞ্চে গিয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা IOA-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্যারিসে ইন্ডিয়া হাউস তৈরি করেছিল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। সেখানেই ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি উদযাপনও করা হয়। সেখানে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। যে আলোচনা সভার নামকরণ করা হয়েছিল, 'ক্রিকেট অ্যাট দ্য অলিম্পিক্স - ডন অফ আ নিউ এরা'।         দ্রাবিড় ছাড়াও আছেন আইসিসি-র চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার জেফ অ্যালার্ডাইস, ড্রিম স্পোর্টসের সিইও হর্ষ জৈন। অ্যালার্ডাইস জানিয়ে রেখেছেন যে, সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার সবরকম সুযোগ সুবিধা দিতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। বিশ্বে ক্রিকেটের প্রসারে কাজও করতে চান।