নয়াদিল্লি: আইপিএলর পরের মরশুম শুরু হতে এখনও অনেকটা সময় বাকি রয়েছে। নিদেনপক্ষে আইপিএলের (Indian Premier League) নিলামের দিনক্ষণও ঘোষণা করা হয়নি। তা সত্ত্বেও আইপিএলের রাজস্থানের ফ্র্যাঞ্চাইজিকে (Rajasthan Royals) নিয়ে চর্চা যেন থামছে না। বহুদিন ধরেই দলের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের দলবদল নিয়ে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। দিনকয়েক আগেই আবার দলের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও নিজের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এবার রয়্যালস ফ্রাঞ্চাইজিকে সুপ্রিম কোর্টে টেনে নিয়ে যাওয়া হল।
হঠাৎ রয়্যালসদের কেন সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়া হল? কারণ নতুন নয়, বরং ঘটনাটি এক দশকেরও বেশি আগের। ঘটনার কেন্দ্রে এস শ্রীসন্থ (S Sreesanth)। ২০১২ সালের আইপিএলে খেলতে পারেননি শ্রীসন্থ। জয়পুরে এক অনুশীলন ম্যাচে হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন শ্রীসন্থ, সেই চোটই তাঁকে গোটা মরশুমের জন্য টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেয়। রয়্যালস ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে তাঁদের খেলোয়াড়দের জন্য একটি বিশেষ বিমা পলিসি নেওয়া হয়েছিল। সেই পলিসি অনুযায়ীই শ্রীসন্থের এই চোটের জন্য বিমা সংস্থার থেকে ৮২ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল রয়্যালস ম্য়ানেজমেন্ট। এই নিয়েই যত সমস্যা।
বিমা কোম্পানির তরফে দাবি করা হয় ২০১১ সাল থেকে এমনিই পায়ের পাতার চোটে ভুগছিলেন শ্রীসন্থ। এই বিমা করানোর সময় কোম্পানিকে সেই বিষয়টি জানানো হয়নি বলে দাবি। তাঁদের মতে এই পুরনো চোট শ্রীসন্থের খেলার উপর প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করতে পারত, তার জেরেই রয়্যালসদের দাবিকে তারা খারিজ করে।
বহুদিন ধরেই এই বিবাদ গড়ায়। NATIONAL CONSUMER DISPUTES REDRESSAL COMMISSION-এ মামলা পৌঁছলে সেখানে রয়্যালস ম্যানেজমেন্টের তরফেই রায় দেওয়া হয়। তবে ওই বিমা কোম্পানির তরফে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করায় ঘটনাটি পুর্নবিবেচিত হবে। সর্বোচ্চ আদালতেও রয়্যালসের তরফে জানানো হয় পায়ের পাতার চোটের জেরে শ্রীসন্থের কোনওরমক সমস্যা হয়নি। বরং, বিমা করা অবস্থাতে তার হাঁটুর চোটই সেই বছর তাঁর আইপিএল না খেলার একমাত্র কারণ। ফিটনেস সার্টিফিকেটগুলিও বিমা নেওয়ার সময় জমা দেওয়া হয়েছিল বলে জানানো হয়।
কোর্টের তরফে দুই বিচারপতি বিক্রম নাথ ও সন্দীপ মেহতা জানতে চান যে এই পায়ের পাতার চোটটি আগে সরকারিভাবে বিমা কোম্পানিকে জানানো হয়েছিল কি না। আর যদি বিমা কোম্পানি এই বিষয়ে জানতই, তাহলে তারা বিমা প্রত্যাখ্যান বা বিমার জন্য বাড়তি প্রিমিয়াম কেন চায়নি। আপাতত বিমা কোম্পানিকে শ্রীসন্থের ফিটনেস সার্টিফিকেট এবং বিমার আসল কপি গায়ের করার জন্য বলা হয়েছে।