বেঙ্গালুরু: শেষদিন বাংলার সামনে সুযোগ ছিল ম্যাচ জেতার। তবে জয় তো দূর, কর্ণাটকের বিরুদ্ধে (Karnataka vs Bengal) ম্যাচ শেষ হল একেবারে ম্যাড়ম্যাড়ে ড্রয়ে। প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়ায় তিন পয়েন্ট এল বাংলার ঝুলিতে। রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) এই মরশুমে এখনও প্রথম সরাসরি জয় অধরাই রইল। অনুষ্টুপ মজুমদারের দলের ম্যাচের শেষদিন থেকে প্রাপ্তি বলতে সুদীপ ঘরামির ফর্মে ফেরা এবং তরুণ সূরয সিন্ধু জয়সওয়ালের ভাল বোলিং।
বল হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনটি করে মোট ছয়টি উইকেট নেন সূরয। সুদীপ ঘরামি নিজের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের কেরিয়ারের পঞ্চম শতরানটি হাঁকালেন। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে দুই মরশুম আগে সেমিফাইনালের পর এটাই তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি। তিনি রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে তিনে ব্যাট করতে নেমে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে সেঞ্চু হাঁকালেন। ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন সুদীপ।
একসময় ১৬০ রানে বাংলা পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। সেই সময় সুদীপকে সঙ্গে দিতে ক্রিজে নামেন অভিজ্ঞ ঋদ্ধিমান সাহা। নিজের শেষ মরশুম খেলা ঋদ্ধি দেখালেন তিনি কিন্তু এখনও ফুরিয়ে যাননি। দুরন্ত আগ্রাসী মেজাজে তিনি ৭০ বলে অপরাজিত ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল সাতটি চার ও একটি ছক্কায়।
দিনের শুরুটা তিন উইকেটের বিনিময়ে ১২৭ রান থেকে করেছিল বাংলা। অনুষ্টুপরা পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ২৮৩ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন। জবাবে দিনের শেষে তিন উইকেটে ১১০ রান তোলে কর্ণাটক। ম্যাচ ড্রয়েই শেষ হয়। জয়ের জন্য কর্ণাটকের সামনে ৩৬৪ রানের কার্যত অসম্ভব এক লক্ষ্য রাখে বাংলা।
এই লক্ষ্য যে তাড়া করে জয় কার্যত অসম্ভব, তা ভালভাবেই জানত কর্ণাটক। তাই ম্যাচ ড্রয়ের লক্ষ্যেই নেমেছিল তাঁরা। তবে শুরুতে ময়ঙ্ক আগরওয়াল এবং কিষাণ বেদারে, দুই ওপেনারকেই সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলার হয়ে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন সূরয। তবে তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। এই ড্রয়ের পর চার ম্যাচশেষে বাংলার দখলে রয়েছে আট পয়েন্ট।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই একটু যদি আগ্রাসী ব্যাটিং করা যেত, তাহলে কি ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন হত? ম্যাচ শেষে বঙ্গশিবির হয়তো এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: জাতীয় টেস্ট দলে ব্রাত্য, রিটেন করেনি KKR, তবে রঞ্জিতে স্বপ্নের ফর্মে শ্রেয়স, হাঁকালেন দ্বিশতরান