লখনউ: রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy 2025-2026) দুরন্ত অপরাজিত সেঞ্চুরি রিঙ্কু সিংহের (Rinku Singh)। উত্তরপ্রদেশের জার্সিতে খেলতে নেমে ম্যাচ বাঁচানো শতরান হাঁকালেন তারকা বাঁহাতি ক্রিকেটার। অন্ধ্র প্রদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে ২৭৩ বলে ১৬৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন রিঙ্কু। নিজের ইনিংসে ১৩টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কা হাঁকান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের আট নম্বর শতরান হাঁকালেন রিঙ্কু। ২২টি অর্ধশতরান হাঁকালেন। হার বাঁচাল উত্তর প্রদেশ।
অন্ধ্র প্রদেশ প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৭০ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল। একটা সময় উত্তর প্রদেশ ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ২৯৪ রান তুলে নিয়েছিল। সেই সময় রিঙ্কু সিংহ ক্রিজে এসেছিলেন। সেই সময় একটা লম্বা পার্টনারশিপের প্রয়োজন ছিল উত্তর প্রদেশের। সেই সময়ে বিপরাজ নিগমের সঙ্গে জুটি বেঁধে ম্যাচে উত্তর প্রদেশকে ফিরিয়ে আনেন রিঙ্কু। শেষ পর্যন্ত ম্য়াচ ড্র হয়ে যায়।
শেষবার রিঙ্কুকে ব্য়াট হাতে দেখা গিয়েছিল এশিয়া কাপের ফাইনালে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালের উইনিং শটটিও হাঁকিয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটারই। আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে শুরু হতে চলেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেই সিরিজে খেলতে দেখা যাবে রিঙ্কুকে।
উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে ম্য়াচ ড্র করল বাংলা
২৬৫ রানে উত্তরাখণ্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হওয়ার পর বাংলার সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ১৫৬ রানের। ২ উইকেট হারিয়ে ২৯.৩ ওভারে সেই লক্ষ্যপূরণ করল বাংলা। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ১৬ রান করে বোল্ড হয়ে যান। ৪৭ বলে ৪৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন সুদীপ ঘরামি। ৭১ রানে অপরাজিত রয়ে গেলেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। বাংলার পেসারদের মধ্য়ে মহম্মদ শামি দুরন্ত ইনিংস খেললেন। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট তুলে নিলেন। মোট সাত উইকেট নিলেন তারকা ডানহাতি পেসার।
এদিকে, শামির প্রশংসায় পঞ্চমুখ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলছেন, 'শামি দারুণ বোলার। ভারতের সেরাদের মধ্যে একজন।' তার আগে খেলা দেখার ফাঁকেও শামির প্রশংসা করেছিলেন সৌরভ। বলেছিলেন, 'যত ম্যাচ খেলবে, আরও ধারাল হবে শামি।'
উল্লেখ্য, চোট সারিয়ে দলীপ ট্রফি খেলেছিলেন। এবার বাংলার জার্সিতে প্রত্যাবর্তন শামির। প্রথম ইনিংসে ৫ বলে তিন উইকেট তুলে উত্তরাখণ্ডকে অল আউট করেছিলেন। উত্তরাখণ্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুর দিকে দাগ কাটতে পারেননি। তৃতীয় দিন পিচ নিয়েও বাংলা শিবিরে ছিল অসন্তোষ।