কলকাতা: সকলেই ধরে নিয়েছিলেন যে, ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছে ম্যাচ। কিন্তু সেই ম্যাচেই আচমকা প্রাণের সঞ্চার করলেন বাংলার বোলাররা (Bengal vs Karnataka)। কর্নাটকের প্রথম ইনিংস মাত্র ২২১ রানে মুড়িয়ে দিয়ে ৮০ রানের মহার্ঘ লিড নিয়েছে বাংলা। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করে ফেলেছে, ম্যাচ অমীমাংসিতভাবে শেষ হলে তিন পয়েন্ট পাবেন অনুষ্টুপ মজুমদাররাই। প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার সুবাদে।
তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৪ ওভারে ১২৭/৩ তুলে কর্নাটকের ওপর চাপ বাড়িয়েছে বাংলা। ম্যাচের তৃতীয় দিনের শেষে কর্নাটকের চেয়ে ২০৭ রানে এগিয়ে গিয়েছে বাংলা। শনিবার ম্যাচের শেষ দিন। তিনশো রানের লিড নিয়ে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করলে কে বলতে পারে শেষ দিন কোনও রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার অপেক্ষা করছে না? কে বলতে পারে যে, কার্যত মরা ম্যাচ থেকেই যে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ফিরবে না বাংলা? বাংলা শিবির অন্তত সেরকমই আশা দেখছে।
কর্নাটকের ইনিংস দ্রুত মুড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যে প্রধান কারিগর বাংলার পেসার ঈশান পোড়েল। চোটের জন্য রঞ্জি ট্রফির শুরুর দিকে দলে ছিলেন না। তাঁর ফর্ম নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল। তবে দলে প্রত্যাবর্তনের পর থেকে দুরন্ত ছন্দে। কেরলের বিরুদ্ধে বাংলার আগের ম্যাচ অমীমাংসিত থাকলেও ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন ঈশান। চন্দননগরের পেসার ফের ৪ উইকেট নিলেন।
পাশাপাশি সূরয সিন্ধু জয়সওয়াল ৩টি ও ঋষভ বিবেক ২টি উইকেট নেন। কর্নাটকের সর্বোচ্চ স্কোরার অভিনব মনোহর। তিনি ৫৫ রান করেন। ৮০ রানের লিড নেওয়ার পর ব্যাট করতে নেমে ৪৪ ওভারের শেষে বাংলার স্কোর ১২৭/৩। শুভম দে ৩০ রান করে আউট হন। ৪৮ রান করে ফেরেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। মাত্র ২ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া হয় তাঁর। হাফসেঞ্চুরি করলে টানা ৫ ইনিংসে পঞ্চাশ বা তার বেশি রান করার নজির হয়ে যেত বারাসাতের বাঁহাতি তারকার।
সুদীপ কুমার ঘরামি ২৫ ও শাহবাজ আমেদ ১২ রানে ক্রিজে। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা অনুষ্টুপ মাত্র ৫ রান করে ফেরেন। শেষ দিন কি রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিতে পারবে বাংলা?
আরও পড়ুন: ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের সময় বিপত্তি! কেন দুবার গলা মেলাতে হল সূর্যকুমার-হার্দিকদের?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।