ইনদওর: ম্যাচের শেষ দিন মধ্যপ্রদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৮৮। আর বাংলাকে জিততে হলে নিতে হত সাত উইকেট। এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পটভূমি তৈরিই ছিল। হলও তাই। শেষদিন জয়ের পাল্লা একবার এদিক তো একবার ওদিকে ভারি হয়। তবে শেষমেশ রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১১ রানে মধ্যপ্রদেশকে হারাল বাংলা। রঞ্জি (Ranji Trophy) মরশুমের প্রথম জয়ে বাংলার নায়ক মহম্মদ শামি (Mohammed Shami) ও শাহবাজ আমেদ (Shahbaz Ahmed)।


তৃতীয় দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশের সংগ্রহ ছিল তিন উইকেটের বিনিময়ে ১৫০ রান। ক্রিজে উপস্থিত ছিলেন সম্ভবত মধ্যপ্রদেশের সেরা ব্যাটার রজত পাতিদার। তিনি ক্রিজে টিকে থাকলে কিন্তু বাংলার জন্য চাপই হত। তবে দিনের শুরুতেই রজত পাতিদারকে সাজঘরে ফেরান মহম্মদ শামি। তাঁর ভাই কাইফ হরপ্রীত ভাটিয়েকে সাজঘরে ফেরালে ১৬১ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে উত্তরপ্রদেশ। এই পরিস্থিতিতে বাংলাই ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল। তবে শুভম শর্মা ও বেঙ্কটেশ আইয়ার রুখে দাঁড়ান।


ষষ্ঠ উইকেটে দুইজনে মিলে ৯৪ রান যোগ করেন। বাংলার বোলাররা কোনওভাবেই তাঁদের উইকেট ভাঙতে পারছিলেন না। বিশেষজ্ঞরাও মনে করছিলে হয়তো ম্যাচ এবার মধ্যপ্রদেশই জিতবে। কিন্তু পরপর ওভারে বেঙ্কটেশ আইয়ারকে ৫৩ ও অধিনায়ক শুভমকে ফেরায় বাংলা। জয়ের জন্য বাকি ৮৩ রান, হাতে মাত্র তিন উইকেট। এই পরিস্থিতি থেকে বাংলার জয়ের আশা কার্যত শেষ করে দিচ্ছিলেন আরিয়ান পাণ্ডে ও সারাংশ জৈন। অষ্টম উইকেটে ৬২ রান যোগ করেন তাঁরা। তাহলে কি এবারও তীরে এসে তরী ডুববে? জিততে পারবে না বাংলা? উদ্বেগ ছিল বাংলার ক্রিকেট সমর্থকদের মনে।


কিন্তু এমন সময়ই বাংলাকে অষ্টম সাফল্য এনে দেন শাহবাজ আমেদ। শেষমেশ ৩২৬ রানেই শেষ হয়ে যায় মধ্যপ্রদেশ। ম্যাচে মোট ৯৫ রান ও চারটি উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় ভূমিকা নেন শাহবাজ। প্রত্যাবর্তন ম্যাচে সাত উইকেট নেন মহম্মদ শামি। এই দুইয়ের দৌরাত্ম্যেই বাংলা ম্যাচ জিতল। এই জয়ের সুবাদ বাংলার ঝুলিতে এল মরশুমে প্রথম ছয় পয়েন্ট। বর্তমানে অনুষ্টুপদের দখলে মোট ১৪ পয়েন্ট রয়েছে।



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।



আরও পড়ুন: মাত্র ১৩ বছর বয়সেই সর্বকালের কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসাবে আইপিএলের নিলামে, কে সে?