নয়াদিল্লি: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গত বছরের শেষে হঠাৎ করেই সকলকে চমকে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণার নয় মাসের মাথায় ফের একবার ভারতীয় দলে (Indian Cricket Team) ফিরতে চলেছেন কিংবদন্তি অলরাউন্ডার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের পর অশ্বিন এ মরশুমের আইপিএল শেষে তাঁর চেন্নাই সুপার কিংস ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। তাঁকে ট্রেড করার কানাঘুষোও শোনা যাচ্ছিল। তবে সেইসব জল্পনায় জল ঢেলে আইপিএল থেকেও অবসর নিয়ে নেন তিনি। তারপরে আবার হঠাৎ করেই জাতীয় দলে কামব্যাক? এখানেই রয়েছে ট্যুইস্ট। অশ্বিন ভারতের হয়ে খেলবেন বটে, তবে তা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুভমন গিলদের সঙ্গে নন। তারকা ক্রিকেটার হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। ৭ থেকে ৯ নভেম্বর এই টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হবে।
অশ্বিন আইপিএলসহ ভারতীয় ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরেই জানান তিনি বিশ্বের বিভিন্ন লিগে খেলতে আগ্রহী। ভারতীয় ক্রিকেটাররা নচেৎ বিদেশি লিগে অংশ নিতে পারেন না। অশ্বিন যেহেতু সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন, তাই তিনি বিদেশি লিগে অংশগ্রহণ করতেই পারেন। এর পরপরই অশ্বিনের জন্য দ্য হান্ড্রেড, বিগ ব্যাশ লিগের মতো টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের প্রস্তাব আসে বলে শোনা যাচ্ছে। সেই লিগগুলিতে খেলার বিষয়ে তিনি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত না নিলেও, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বরই হংকং সিক্সেসে অংশ নেওয়ার কথা নিশ্চিত করে দেন।
অশ্বিন এই বিষয়ে বলেন, 'এই ফর্ম্যাটে ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে হয় এবং টানটান উত্তেজনা থাকে। তাই এই ফর্ম্যাটে আমার প্রাক্তন কিছু সতীর্থের সঙ্গে খেলতে নামতে আমি মুখিয়ে রয়েছি। প্রতিপক্ষেও বেশ কয়েকজন ভাল ক্রিকেটার থাকবে। তাঁদের বিরুদ্ধে খেলতে নামারও অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করছি বেশ একটা চ্য়ালেঞ্জিং প্রতিযোগিতা হতে চলেছে।'
টুর্নামেন্টের উদ্যোক্তরাও অশ্বিনের মতো এক কিংবদন্তি এতে অংশগ্রহণ করায় উচ্ছ্বসিত। তাঁরা এক বিবৃতিতে জানান, 'বর্তমান যুগের সেরা স্পিনারদের মধ্যে অন্যতম অশ্বিনের এই দ্রুত গতির টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করাটা টিম ইন্ডিয়ার দলে অভিজ্ঞতা, ভারসাম্য এবং তারকা শক্তি বাড়াবে।'
১৯৯২ সালে চালু হওয়া হংকং সিক্সেসে ফাইনাল ব্যতীত বাকি সব ম্যাচে পাঁচ বলের আটটি ওভার করে উভয় দল ব্যাটিং করেন। এই খেলায় উইকেটকিপার ব্যতীত দলের সকল সদস্যকে এক ওভার করে বোলিং করতে হয়। ২৪ দলের এই টুর্নামেন্ট পাকিস্তান সর্বাধিকবার জিতেছে।