আমদাবাদ: একেবারে আগাগো়ড়া দাপট দেখানো যাকে বলে, তেমন দাপট দেখিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ়ে এগিয়ে গেল ভারতীয় দল। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আড়াই দিনেই শেষ হয়ে গেল খেলা। ইনিংস ও ১৪০ রানে রস্টন চেজ়ের দলকে দুরমুশ করলেন শুভমন গিলরা। এই নিয়ে ভারতে আয়োজিত বিগত পাঁচের চারটিতে ইনিংসে হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ় (IND vs WI)। অপর ম্যাচে তাঁরা দশ উইকেটে হারে। ভারতের হয়ে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করার পর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট নিয়ে কেন তিনি বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার, আবারও প্রমাণ করলেন রবীন্দ্র জাডেজা (Ravindra Jadeja)। দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট সাতটি উইকেট নিলেন মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj)।
গতকাল পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ৪৪৮ রানে দিনের খেলা শেষ করেছিল ভারতীয় দল। রবীন্দ্র জাডেজা ১২৫ এবং ওয়াশিংটন সুন্দর নয় রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন। আজ সকালে তাঁরা আর ব্যাটে নামেননি। ৪৪৮ রানে দিনের শুরুতেই ইনিংস ঘোষণা করে দেন ভারতীয় অধিনায়ক শুভমন গিল। ২৮৬ রানে এগিয়ে ছিল ভারতীয় দল।
এমন পরিস্থিতিতে জয় তো দূর, ইনিংসে হার এড়াতে হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে দারুণ ব্যাটিং করতে হত। তার জন্য প্রয়োজন ছিল শুরুটা ভালভাবে করা। তব সেটা আর হল কই। শুরুটা দেখেশুনে করলেও, এদিন ভারতীয় দলকে বেশিক্ষণ আটকে রাখা যায়নি। প্রথম ইনিংসের মতোই ওয়েস্ট ইন্ডিজ় ওপেনার তেগনারায়ণ চন্দ্রপালকে ফেরান মহম্মদ সিরাজ। দুরন্ত ক্যাচ ধরেন নীতীশ কুমার রেড্ডি। আরেক ওপেনার জন ক্যাম্পবেলকে ১৪ রানে আউট করেন রবীন্দ্র জাডেজা।
এরপর তো যেন উইকেটের ফুলঝুরি লেগে যায়। একের পর এক ওয়েস্ট ইন্ডিজ় ব্যাটার আসে আর যায়। কুলদীপ, জাডেজা, সুন্দরদের বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের মিডল অর্ডার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। কেবল অ্যাথানাজ়েই খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তবে ৫০ রানের গণ্ডি পার করার আগেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের জন্য দেওয়াল লিখনটা স্পষ্ট হয়ে যায়।
চা পানের বিরতির পর অবশ্য অ্যাথানাজ়ে ও জাস্টিন গ্রেভস চেষ্টা করেছিলেন। দুইজনে ৪৬ রানের পার্টনারশিপও গড়েন। তবে তাতে ইনিংসে হার এড়ানো অসম্ভব ছিল। শেষের দিকে খ্যারি পিয়েররা খানিকটা চালিয়ে কিছু রান করেন বটে। তবে ১৪৬ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ় ইনিংস। দুরন্ত জয় পায় ভারত।