হায়দরাবাদ: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ১২ রানে প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচ জিতে নিয়েছে ভারতীয় দল (Team India)। শুভমন গিলের দ্বিশতরানে ভর করে ভারত প্রথম ইনিংসে ৩৪৯ রান তোলে। জবাবে কিউয়ি দল ১৩১ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেললেও, কার্যত একা হাতেই নিউজিল্যান্ডকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন মাইকেল ব্রেসওয়েল (Michael Bracewell)। শেষমেশ পরাজিত হতে হলেও, ব্রেসওয়েলের ১৪০ রানের ইনিংস ক্রিকেটপ্রেমীরা সহজে ভুলবেন না। ম্যাচ শেষে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাও (Rohit Sharma) কিউয়ি তারকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।


প্রতিপক্ষের প্রশংসায় রোহিত


রোহিত বলেন, 'সত্যি বলতে ব্রেসওয়েল যেমনভাবে ব্যাট করছিল, আমরা জানতাম আমাদের সামনে একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। দারুণ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছিল ও। ওদের পাঁচ উইকেট ফেলে দেওয়ার পর মনে হয়েছিল খুব খারাপ না খেললে ম্যাচটা আমাদের দখলেই রয়েছে। তবে রাতে শিশিরের পড়লে বোলিং করার একটা ঝুঁকি তো থাকেই। টসেই বলেছিলাম শিশিরে আমাদের বোলাররা কেমন পারফর্ম করে সেটা দেখতে চাই। সেই চ্যালেঞ্জের মুখে আমাদের পড়তেও হয়েছে। তবে শেষমেশ জয় পেয়ে খুশি।'


ব্রেসওয়েলের পাশাপাশি এই ম্যাচে ভারতের দুই তারকা পারফর্মার, দ্বিশতরানকারী গিল ও চার উইকেট নেওয়া সিরাজের প্রশংসা করতেও ভোলেননি রোহিত। 'গিলকে ব্যাট করতে দেখাটা দারুণ অনুভূতির। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে আমরা ওর ফর্মটা পরখ করে দেখে নিতে চেয়েছিলাম। ও দারুণ ব্যাটার। আর সিরাজ তো সাম্প্রতিক সময়ে সব ফর্ম্যাটেই ভাল বল করছে। ওর নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামে এবং তেমনভাবেই বোলিং করে। শর্ট বল করতেও কিন্তু পিছপা হয় না ও।' বলেন রোহিত।


দ্বিশতরানের কথা ভাবেননি শুভমন


ম্যাচ শেষে নিজের ইনিংসের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে গিল বলেন, 'আমি মাঠে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছন্দে খেলার চেষ্টায় ছিলাম। তবে অনেক সময়ই অন্য প্রান্ত থেকে উইকেট পড়তে থাকলে, তেমনটা করা সম্ভব হয় না। এই ম্য়াচে শেষমেশ আমি আগ্রাসী ছন্দে ব্যাট করতে সক্ষম হই। বোলাররা শীর্ষে থাকলে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ওদের চাপে ফেলাটা প্রয়োজন। নাহলে ওরা পরপর ডট বল করে ব্যাটারদের চাপে ফেলে দেয়। আমি এক, দুই রান করে নেওয়ার মাঝেমাঝে বাউন্ডারিও মারার চেষ্টায় ছিলাম, যাতে ওরা সবসময় চাপে থাকে।'


ভারতের তারকা ওপেনারের দাবি দ্বিশতরান করার বিষয় তাঁর মাথাতেই আসেনি। ৪৬-৪৭ ওভারে লকি ফার্গুসনের বিরুদ্ধে পরপর ছক্কা হাঁকানোর পরেই তিনি প্রথম দ্বিশতরানের কথা ভাবেন। 'আমি ৪৬-৪৭ ওভারে ওই ছক্কাগুলি মারার আগে অবধি একবারও দ্বিশতরান করার কথা ভাবিওনি। কিন্তু ওই ছক্কাগুলি মারার পরেই আমার মনে হয় যে আমি দ্বিশতরান করতে পারি। ব্যাট হাতে যখন নিজের পছন্দমতো শট খেলা যায়, টাইমিং হয়, তখন সেই অনুভূতিটা বেশ ভালই। সত্যি বেশ তৃপ্তি লাগছে। ইনিংসটা সত্যিই স্বপ্নের মতো।'


আরও পড়ুন:ব্রেসওয়েলের শতরান সত্ত্বেও, সিরাজের দুরন্ত বোলিংয়ে ম্যাচ জিতল ভারত