মোতেরা: ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন রেকর্ডের মালিক হলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড। বিজয় হাজারে ট্রফিতে ম্যাচ চলছে উত্তরপ্রদেশ বনাম মহারাষ্ট্রের। সেই ম্যাচে মহারাষ্ট্রের হয়ে ওপেন করতে নেমে এক ওভারে সাতটি ছক্কা হাঁকালেন এই ডানহাতি ব্য়াটার। লিস্ট এ ক্রিকেটে যা এক অনন্য রেকর্ডও। ঘরোয়া ক্রিকেট তো অবশ্যই এমনকী বিশ্ব ক্রিকেটেও রুতুরাজই প্রথম ক্রিকেটার যিনি সীমিত ওভারের ফর্ম্যাটে এক ওভারে সাতটি ছক্কা হাঁকালেন।


যদিও ক্রিকেটের সব ফর্ম্য়াট মিলিয়ে এই রেকর্ড দখলে রয়েছে নিউজিল্য়ান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার লি গারমনের ঝুলিতে। তিনি ওয়েলিংটনস শেলস ট্রফির একটি ম্যাচে মোট আটটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। রুতুরাজ এদিন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে খেলতে নেমে এক ওভারে সাতটি ছক্কা হাঁকান। মহারাষ্ট্রের ইনিংসের ৪৯ তম ওভারে এই রেকর্ড গড়েন। উত্তরপ্রদেশের শিবা সিংহের ওভারে সাতটি ছক্কা হাঁকান সিএসকের হয়ে খেলা এই তরুণ ব্য়াটার। সেই ওভারে একটি নো বলও করেন শিবা। লিস্ট এ ক্রিকেটে নিজের প্রথম দ্বিশতরান হাঁকান তিনি। ১৫৯ বলে ২২০ রানের ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি ও ১৬টি ছক্কা হাঁকান রুতুরাজ। 


২৫ বছর বয়সি রুতুরাজ এক ওভারে সর্বাধিক ৪২ রান করারও রেকর্ড গড়েন। এর আগে এই নজির ছিল জিম্বাবোয়ের এল্টন চিগাম্বুরার দখলে। তিনি ২০১৩ সালে এক ওভারে ৩৯ রান করেছিলেন ঢাকা প্রিমিয়র ডিভিশনের একটি ম্যাচে।


ক্ষোভ প্রকাশ গিলের


টানা ৬টি ওয়ান ডে সিরিজ জয়ের সুযোগ ছিল। কিন্তু তা হাতছাড়া হল টিম ইন্ডিয়ার। তবে নিজেদের পারফরম্যান্সে নয়, তাল কাটল বৃষ্টি। নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে হারতে হয়েছিল শিখর ধবনের নেতৃত্বাধীন দলকে। দ্বিতীয় ম্য়াচে বৃষ্টির জন্য ভেস্তে যায় ম্যাচ। আগামী বুধবার তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে খেলতে নামবে ২ দল। প্রথম ম্যাচে জিতে এই মুহূর্তে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে রয়েছে কিউয়িরা। তৃতীয় ম্যাচে যদি ভারতীয় দল জিতেও যায়, তারপরও সিরিজ ১-১ ড্র হবে। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে এতবার বৃষ্টি তাল কেটেছে, যা নিয়ে বেশ অসন্তোষ প্রকাশ করলেন ভারতীয় দলের তরুণ ওপেনার শুভমন গিল।


সাদা বলের ফর্ম্যাটে ২টো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাল কেটেছে বৃষ্টি। একটি ওয়ান ডে ম্যাচে ভেস্তে গিয়েছে। শুভমন গিল বলছেন, "মাঝে মাঝে ভীষণ হতাশ লাগে। আমার মনে হয় এই নিয়ে বোর্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, যাতে ইন্ডোর ক্রিকেট আয়োজন করা যায়। আমি জানি না কীভাবে আওয়াজ তুলতে হবে। কিন্তু বৃষ্টির জন্য অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচ ভেস্তে যায়। যা প্লেয়ারদের মনোবলও দুর্বল করে দেয়। তাই ইন্ডোর ক্রিকেট অন্যতম সেরা বিকল্প হতে পারে।''