নয়াদিল্লি: দলীপ ট্রফিতে (Duleep Trophy) খেলার সময় চোট পেলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড (Ruturaj Gaikwad)। ইন্ডিয়া 'বি' দলের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ইন্ডিয়া 'সি'। সেই ম্য়াচে মাত্র দু'বল খেলেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক (Chennai Super Kings)। ইন্ডিয়া 'সি' দলের অধিনায়ক হিসেবে খেলছেন রুতুরাজ। সেই ম্য়াচে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান রুতুরাজ। কিন্তু এরপরই গোড়ালি মচকে যায় ডানহাতি এই ব্যাটারের। তখনই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এই তরুণ ওপেনার।


টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইন্ডিয়া 'বি' দলের অধিনায়ক। ইন্ডিয়া 'সি' দলের হয়ে ওপেনে নেমে শুরুতেই মাঠে ছাড়তে হয় রুতুরাজকে। কিন্তু এরপরও দলের হয়ে হাল ধরেন সাই সুদর্শন ও রজত পাতিদার। সুদর্শন ৭৫ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন। রজত পাতিদার ৬৭ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে ৯২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তাঁরা। এরপরই ইন্ডিয়া সি-কে টানেন ঈশান কিষাণ ও বাবা ঈন্দ্রজিৎ। 


মুকেশ কুমারের বলে খেলছিলেন রুতুরাজ। সেই সময়ই চোট পান তিনি। কিন্তু আশা করা হচ্ছে যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামতে পারবেন রুতুরাজ। কারণ সূত্রের খবর, চোট খুব একটা গুরুতর নয়। 


এদিকে, ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি খেলেন না এই নিয়ে বিতর্ক বেঁধেছিল। ঈশান কিষাণ এবার ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিজের জাত চেনালেন। দলীপ ট্রফিতে নেমেই সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ইন্ডিয়া সি-র হয়ে ইন্ডিয়া বি-র  বিরুদ্ধে ১২৬ বলে ১১১ রান করলেন ঝাড়খণ্ডের তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটার।  মাত্র ১১৯ বলে সেঞ্চুরি সম্পূর্ণ করেন তিনি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে, ২০১৪ সালে ঝাড়খণ্ডের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ঈশানের। কেরিয়ারের প্রথম দশটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন ঈশান। সব মিলিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৭টি সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর।


উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে নামার আগে অনেক তারকা ক্রিকেটারই দলীপ ট্রফিতে খেলছেন। সেখানে রয়েছেন শুভমন গিল, কে এল রাহুল, ঋষভ পন্থ, আকাশ দীপ। এঁরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে রয়েছেন। তবে সিনিয়র ২ ক্রিকেটার বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা কিন্তু দলীপ ট্রফি খেলছেন না। সেক্ষেত্রে একবারে চেন্নাই টেস্টেই ফের মাঠে দেখা যাবে ২ তারকাকে।