মুম্বই: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রত্ন তিনি। ঝুরি ঝুরি রান। অসংখ্য রেকর্ড। কেরিয়ারে ১০০ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। তিনি ক্রিকেটের মাস্টার। তিনি মাস্টার ব্লাস্টার। অবসরের এত বছর পরেও তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের অন্য়তম প্রাসঙ্গিক নাম। সচিন রমেশ তেন্ডুলকর (Sachin Ramesh Tendulkar)। মুম্বইয়ের মাটি থেকে উঠে এসে যিনি বিশ্বমঞ্চে ২৪ বছর দাপটের সঙ্গে খেলেছেন। শনিবার নিজের সোশ্য়াল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেছেন সচিন। সেখানেই নিজের পোস্টের সচিন বহুতল বিল্ডিংয়ের ব্যালকনি থেকে পাশের একটি মাঠের দিকে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছেন।
সেই ছবির ক্যাপশন না দেখলে অবশ্য পুরো বিষয়টি আপনিও বুঝতে পারবেন না। কিংবদন্তি ক্রিকেটার ক্য়াপশনে লিখেছেন, ''ওই যে, ওইখান থেকেই আমার সফর শুরু হয়েছিল। সেই জায়গাটাই দেখাচ্ছি। শিবাজি পার্কের কামাথ মেমােরিয়াল ক্রিকেট ক্লাব। খুব দ্রুত, আচরেকর স্যারের স্মৃতিসৌধ ওখানে স্থান করে নেবে। অনেকগুলো মানুষের জীবনে বেঁচে থাকার কারণ ওই মানুষটাকে শ্রদ্ধা।''
মুম্বই থেকে যাঁরা ভারতীয় ক্রিকেটে সুনামের সঙ্গে উঠে এসেছে খেলেছেন, তাঁদের প্রায় বেশিরভাগই প্রয়াত আচরেকরের ছাত্র ছিলেন। তালিকায় বিনোদ কাম্বলি, প্রবীন আমরেরাও রয়েছেন। দ্রোণাচার্য পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল আচরেকরকে। নিজের কোচকে এভাবে সম্মান জানাতে চলেছে মহারাষ্ট্র সরকার, তাই খুশি চেপে রাখতে পারেননি মাস্টার ব্লাস্টার। তিনি নিজের সোশ্য়াল মিডিয়ায় লিখেছেন, "আমার সঙ্গে অনেকের জীবনে আচরেকর স্য়ারের ভূমিকা অনস্বীকার্য ৷ আমি তাঁর ছাত্রদের হয়েই বলছি, শিবাজী পার্কে তাঁর জীবন কেটেছে ক্রিকেটকে ঘিরেই ৷ তাই চিরকাল শিবাজী পার্কে থাকা ছাড়া তাঁর বড় ইচ্ছা আর কিছু হতে পারে না ৷ আমি খুবই খুশি যে আচরেকর স্যারের কাজ যেখানে ছিল, সেখানেই সরকার তাঁর মূর্তি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷"
দুদিন আগেই নিজের মায়ের জন্মদিন সেলিব্রেশনের ছবি পোস্ট করেছিলেন সচিন। মাস্টার ব্লাস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেছিলেন সচিন। সেখানে রজণী তেন্ডুলকরের কেক কাটার ছবিটির ক্যাপশনে মাস্টার ব্লাস্টার লেখেন, 'মায়ের জন্মদিন আজ আমরা সকলে এখানে একসঙ্গে রয়েছি। এর থেকে ভাল আর কী ই বা হতে পারে। আমরা তোমাকে অনেক ভালবাসি মা। তুমি আমাদের জগত। শুভ জন্মদিন। তোমার স্নেহের ছায়ায় থাকতে পেরে আমরা সুখী। শুভ জন্মদিন মা।'