নয়াদিল্লি: সঞ্জু স্যামসনের (Sanju Samson) ভারতীয় ক্রিকেট কেরিয়ার চড়াই, উতরাইয়ে ভর্তি। তিনি বহুদিন আন্তর্জাতিক অভিষেক ঘটালেও নিয়মিত জাতীয় দলে সুযোগ পাননি। শ্রীলঙ্কান সফরে জোড়া ম্যাচে শূন্য করার পরেই ফের একবার তাঁর নিজেরই নিজের কেরিয়ার নিয়ে মনে মনে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। তবে ভারতীয় কোচ গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) আশ্বাসবাণীই তাঁকে সাফল্য পেতে সাহায্য করেন। সেই কাহিনি নিজেই জানান স্যামসন।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দলে সুযোগ পেয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খাতাই খুলতে পারেননি স্যামসন। এরপরেই গ্লানিতে ভুগছিলেন তিনি। তবে গম্ভীর তাঁকে আশ্বস্ত করেন। আর অশ্বিনের সঙ্গে একা সাক্ষাৎকারে স্যামসন জানান, 'আমি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের দুইটিতেই শূন্য করেছিলাম। আমি মনে ভাবছিলাম, ও আবারই সেই একই ঘটনা ঘটতে চলেছে। দুই ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ব্যর্থ হয়ে ফের একবার হয়তো আমি বাদ পড়তে চলেছি। আমি সাজঘরে খানিক হতাশ হয়েই বসে ছিলাম। গৌতি ভাই সেটা দেখে আমার কাছে এসে প্রশ্ন করেন যে কী হয়েছে। আমি বলি দুইটি সুযোগ পেয়েই কাজে লাগাতে ব্য়র্থ হলাম আমি।'

এরপরেই স্যামসন জানান গম্ভীর তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, 'গৌতি ভাই বলেন এতে কী হয়েছে? তুমি যদি ২১টি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হও, তবেই আমি তোমায় দল থেকে বাদ দেব।; স্যামসন জানান, ' ওঁ এইগুলিই বলেছিল। অধিনায়ক ও কোচের এই ধরনের কথাবার্তা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। তোমার মনে হয় ওঁরা তোমায় ভরসা করেন এবং তুমি নিজেও ভাল পারফর্ম করার জন্য আরও বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠে।' গম্ভীরের ভরসার মান রাখেন স্য়ামসন। এই বছরের শুরুতেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ়ে জোড়া শতরান আসে তাঁর ব্যাট থেকে।

তবে বর্তমানে স্যামসন জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার থেকেও অন্য কারণে শিরোনামে। Cricbuzz-র রিপোর্ট অনুযায়ী স্যামসন ও রয়্যালস ম্যানেজমেন্টের সম্পর্ক নাকি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। তাই আর রাজস্থানে ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে একেবারেই খেলতে আগ্রহী নন স্যামসন। তিনি রয়্যালসের কর্তাদের নাকি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁকে যেন ২০২৬ সালের আইপিএলের আগে ছেড়ে দেওয়া হয় অথবা ট্রেড করা হয়। এই বিবাদের কারণটা ঠিক কী?

শোনা যাচ্ছে রয়্যালসের সঙ্গে স্যামসনের বিবাদের মূল কারণ দলে তাঁর ব্য়াটিং পজিশন। স্যামসন ভারতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে খেললেও তিনি ওপেন করেন। তবে এ বছর আইপিএলে স্যামসনের চোটের মাঝে যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে বৈভব সূর্যবংশীকে রয়্যালসের তরফে ওপেন করতে পাঠানো হয়। বৈভব সাফল্য পাওয়ায় এই ওপেনিং জুটিকেই বাকি সময়টাও খেলানো হয়। স্যামসনকে ব্যাটিং অর্ডারে নিজের পছন্দের জায়গা ছেড়ে দিতে হয়। স্যামসনকে নিজের পছন্দের ব্যাটিং পজিশন বাছাই করতে না দেওয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয় এবং সেই দূরত্ব সময়ের সঙ্গে আরও বেড়েছে। যদিও এটাই মন কষাকষির একমাত্র কারণ নয় বলেও রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে।