হায়দরাবাদ: নিজামের শহরে বাংলাদেশ (India vs Bangladesh) বোলিংকে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে কার্যত খুন করেছেন তিনি। ৪০ বলে সেঞ্চুরি, ৪৭ বলে ১১১ রান করে ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেন সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson)। তবে একটা সময় এই স্যামসনই ভয় পেয়েছিলেন, জাতীয় দলে আর খেলার সুযোগ পাবেন তো?


শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পরপর ২ ম্যাচে শূন্য করে আউট হওয়ার পর স্যামসন ভেবেছিলেন, তাঁকে না জাতীয় দল থেকে বাদ পড়তে হয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে সেই কাহিনি শুনিয়েছেন স্যামসন নিজেই। বলেছেন, 'আমি মনে করি আমার সাফল্যের নেপথ্যে ড্রেসিংরুম ও দলের পরিচালনা সমিতির কৃতিত্ব প্রাপ্য। অধিনায়ক ও কোচ আমার পাশে অভাবনীয়ভাবে দাঁড়িয়েছেন। শ্রীলঙ্কায় পরপর দুই ম্যাচে শূন্য করার পর আমি নিজের জায়গা নিয়ে সন্দিহান ছিলাম। মনে হয়েছিল, পরের সিরিজে আমি দলে জায়গা পাব তো?'


স্যামসন আরও বলেছেন, 'কিন্তু ওরা আমার ওপর আস্থা রেখেছিল। বলেছিল, আমরা তোমার পাশে আছি যাই হোক না কেন। আমরা এই ফর্ম্যাটে প্রত্যেক ম্যাচে মাঠে নেমে শাসন করার চেষ্টা করব।'


ভারতীয় দলে খেলা যে সহজ নয়, প্রবল মানসিক চাপের সঙ্গে প্রত্যেক মুহূর্তে লড়াই করতে হয়, জানিয়েছেন স্যামসন। বলেছেন, 'ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে মানসিকভাবে অনেক ঝড় ঝাপ্টা সামলাতে হয়। বিশেষ করে এই ফর্ম্যাটে যেখানে ব্যাটার হিসাবে সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতা অনেক বেশি। সব সময় আগ্রাসী থাকতে হয়, শট খেলার চেষ্টা করতে হয়। অনেক বেশি ঝুঁকি আর যেখানেই ঝুঁকি বেশি সেখানে ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কাও বেশি।'


বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজে ভারতের হয়ে ইনিংস ওপেন করেছেন স্যামসন। কেরলের ক্রিকেটার জানিয়েছেন, তাঁকে এই ভূমিকার কথা আগেই বলেছিলেন কোচ গৌতম গম্ভীর, সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার ও অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। সিরিজ শুরুর তিন সপ্তাহ আগে।




স্যামসনের কথায়, 'আমি খুব সৌভাগ্যবান যে, সিরিজ শুরুর তিন সপ্তাহ আগে দল পরিচালনা সমিতি থেকে বার্তা পেয়েছিলাম যে, আমাকে ওপেন করতে হবে। তাতে প্রস্তুতির পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি রাজস্থান রয়্যালসের অ্যাকাডেমিতে গিয়ে প্রচুর প্রচুর নতুন বল খেলে নিজেকে তৈরি করি। সেই কারণে আমি অন্যান্য সিরিজের তুলনায় এই সিরিজে ১০ শতাংশ হলেও বেশি প্রস্তুত ছিলাম।