নয়াদিল্লি: সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন ভারতীয় নির্বাচকরা। রঞ্জিতে স্বপ্নের ফর্মে থাকা সত্ত্বেও না ওয়ান ডে, না টি-টোয়েন্টি না টেস্ট, কোনও দলেই সুযোগ পাননি সরফরাজ খান (Sarfaraz Khan)। এই নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। তবে সরফরাজ আগেই জানিয়েছিলেন, যাই হয়ে যাক তিনি ভেঙে পড়বেন না। নিজের কথা রাখলেন মুম্বইয়ের ব্যাটার। জাতীয় দলে বঞ্চনার জবাবটা কিন্তু ব্যাট দিয়েই দিলেন মুম্বই তারকা। মঙ্গলবার রঞ্জিতে দিল্লির বিরুদ্ধে মাঠে নেমে ফের একবার সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি।
ব্যাটেই বঞ্চনার জবাব
এদিন দিল্লির বিরুদ্ধে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সরফরাজ। তিনি ব্যাটে নামার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সাজঘরে ফেরেন অজিঙ্ক রাহানে। ৬৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বিরাট চাপে পড়ে যায় মুম্বই। তবে দলের ত্রাতা হয়ে উঠেন সরফরাজ। এক চোখধাঁধানো ইনিংসে দলকে চাপের মুখ থেকে রক্ষা করেন সরফরাজ। তিনি ১৫৫ বলে ১২৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। সরফরাজের ইনিংস সাজানো ছিল ১৬টি চার ও চারটি ছক্কায়। এই নিয়ে বিগত ১০ রঞ্জি ইনিংসে চতুর্থ শতরান হাঁকালেন সরফরাজ।
সরফরাজের মন্তব্য
ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে সূর্যকুমার যাদবকে দলে নেওয়া হলেও ভাবা হয়নি এই ফর্ম্যাটে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভারতের এই মুহূর্তের অন্যতম সফল ব্যাটার সরফরাজ খানকে। স্বভাবতই কিছুটা হতাশ হন তরুণ এই ব্য়াটার। সরফরাজ বলছিলেন, ''আমি যেখানেই যেতাম সেখানেই শুনতে পেতাম যে খুব তাড়াতাড়ি জাতীয় দলে সুযোগ আসবে আমার। সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজার হাজার মেসেজ। ভারতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ায় অনেকেই লিখেছিলেন যে তোমার সময়ও আসবে। আমি অসম থেকে দিল্লি পৌঁছেছিলাম। কিন্তু সারারাত ঘুমোতে পারিনি। বারবার মাথায় আসছিল যে কেন জাতীয় দলে আমি নেই। কিন্তু বাবার সঙ্গে কথা বলার পর যদিও আমি আবার স্বাভাবিক হতে পেরেছি। ডিপ্রেশনে চলে যেতে চাই না কোনওভাবেই। আমি আবার চেষ্টা করব।''
উল্লেখ্য, সোমবার সাতসকালে নয়াদিল্লি থেকে মোবাইল ফোনে এবিপি লাইভকে নওশাদ খান বলছিলেন, 'আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না কী বলে ওকে সান্ত্বনা দেব। ভীষণ মুষড়ে পড়েছিল সরফরাজ। রঞ্জি ট্রফি চলছে। সেখানে ধারাবাহিকভাবে রান করেও ব্রাত্য হয়ে রইল। একটা ছেলে এরপরেও খেলার উৎসাহটা পাবে কী করে?'
আরও পড়ুন: ৫০ ইনিংসে নেই শতরান, বিরাটের সঙ্গে তুলনা টেনে রোহিতের সমালোচনায় মুখর গম্ভীর