রাওয়ালপিণ্ডি: ক্রিকেট যখন খেলতেন তখন তিনি বর্ণময় একজন চরিত্র ছিলেন ২২ গজের। বিধ্বংসী পেসে তছনছ করে দিতেন বিপক্ষের ব্যাটিং লাইন আপ। কিন্তু মাঠের বাইরে মাঝেমাঝেই বিতর্কের জন্ম দিতেন। ক্রিকেট ছাড়ার পরও শোয়েব আখতারকে নিয়ে কম চর্চা হয় না। তাঁর ব্যাড বয় ইমেজই তাঁকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। এবার ফের শিরোনামে প্রাক্তন এই পাক পেসার। সংবাদ সূত্রে খবর, তিনি নাকি দাবি করেছেন যে ২০০৫ সালে মুক্তি পাওয়া মহেশ ভট্টর গ্যাংস্টার ছবির মুখ্য চরিত্রের জন্য শোয়েবকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যদিও এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমেই ট্রোলের শিকার হতে হয় শোয়েবকে। 


উল্লেখ্য, গত বছর নিজের বায়োপিক হওয়া নিয়ে জানিয়েছিলেন শোয়ব। তবে গত মাসেই আচমকা সেখান থেকে সরে দাঁড়ানোর কথাও জানান রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস। বায়োপিক নিয়ে নির্মাতাদের সঙ্গে কোনও সমস্য়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। 


সোশ্যাল মিডিয়ায় শোয়েবকে ট্রোল


 






এর আগে বিরাট কোহলির নেতৃত্ব ছাড়ার ইস্যু নিয়েও মুখ খুলেছিলেন শোয়েব। এক সাক্ষাৎকারে বিরাটের পাশে দাঁড়িয়ে রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ''আমার মনে হয় এটা অনেক দিন আগে থেকই শুরু হয়েছিল। হয়ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় থেকেই। দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যদি বিরাট জিততে না পারত, তবে হয়ত ওঁকে সরিয়েই দেওয়া হত। ওঁর বিরুদ্ধে অনেকে রয়েছে। অনেকগুলো লবি কাজ করছে। তাই বাধ্য হয়ে, বলতে গেলে জোর করেই ওঁকে নেতৃত্ব ছাড়তে হল চাপের মুখে।'' আখতার আরো বলেন, ''যাঁরাই তারকা, তাঁদেরই সমস্যার মুখে পড়তে হয়। আমার মনে হয় এগুলো ভুলে এগিয়ে যেতে হবে বিরাটকে। ওঁকে গোটা দেশ ভালবাসে। তাই এই পরিস্থিতিতে সব কিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে ওঁকে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে হবে। মাঠে নেমে আগের মতো পারফর্ম করতে হবে।''


বিরাট এখন আগের তুলনায় অনেক খোলা মনে খেলতে পারবে বলেই মনে করেন আখতার। তিনি বলেন, ''ওঁকে এখন শুধু নিজের ব্যাটিং নিয়ে খেটে যেতে হবে। অধিনায়কত্ব কখনোই সোজা কাজ নয়। আর সেই কাজটাই ওঁ দারুণভাবে করে এসেছে এতদিন। এখন আর সেই চাপ নেই। এবার ওঁর নিজের পারফরম্যান্সে মন দেওয়ার সময়। ক্রিকেটটা উপভোগ করার সময় এখন বিরাটের।''