মুম্বই: জল্পনা ছিলই, হলও তাই। সদ্যই এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer) পিঠের চোটের ফের ভুগছেন। সেই কারণেই তিনি বিসিসিআইকে আপাতত লাল বলের ক্রিকেট থেকে তাঁকে কয়েকদিন বিশ্রাম দেওয়ার অনুরোধ করে মেল পাঠিয়েছেন। সেই খবরে সিলমোহর পড়ল। বিসিসিআই সদ্যই ইরানি ট্রফির জন্য অবশিষ্ট ভারত একাদশ এবং অস্ট্রেলিয়া 'এ' দলের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের জন্য ভারতীয় 'এ' দলের ঘোষণা করেছে। সেই দল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিসিসিআই শ্রেয়সের লাল বলের ক্রিকেটে অনুপস্থিতির কথা জানিয়ে দেয়।

Continues below advertisement

বিসিসিআইয়ের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, 'শ্রেয়স আইয়ার বিসিসিআইকে লাল বলের ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের বিরতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্যে পিঠের অস্ত্রোপ্রচারের পর ওঁ ভালভাবেই সেরে উঠেছিলেন। তবে সম্প্রতি আবার পিঠের সেই সমস্যা ফিরে এসেছে এবং তিনি লাল বলের ক্রিকেট খেলায় সমস্যায় পড়ছেন। এই সময়কালটা ওঁ নিজের ফিটনেস এবং শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজে লাগাতে আগ্রহী। ওঁর এই সিদ্ধান্তের জেরেই ইরানি ট্রফির জন্য ওঁকে বিবেচনা করা হয়নি।' 

বর্তমানে ভারতীয় 'এ' দল অস্ট্রেলিয়া 'এ' দলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলছে। এই সিরিজ়ের জন্য শ্রেয়সকে ভারতীয় 'এ' দলের অধিনায়ক নির্বাচিত করা হলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি খেলছেন না। ম্যাচ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মুম্বইয়ের তারকা ব্যাটার। এই পিঠের চোটের কারণেই তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন।

Continues below advertisement

শ্রেয়সের পিঠের চোট কিন্তু নতুন নয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসেও এই একই সমস্যা হয়েছিল তাঁর। সেই কারণেই পরের বছর বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির মাঝপথ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন শ্রেয়স। এই চোটের জেরে শ্রেয়সের অস্ত্রোপ্রচার হয় এবং সেই বছর তিনি আইপিএলে খেলতেও পারেননি। এই পিঠের সমস্যার কথা জানিয়েই শ্রেয়স মুম্বইয়ের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে মাঠে নামেননি। এর জেরে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়। এর জেরেই তিনি বিসিসিআইয়ের বার্ষিক চুক্তি থেকেও বাদ পড়েছিলেন। ফের একবার এই পিঠের চোটের জেরেই আবারও সরে দাঁড়ালেন তিনি।

৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতীয় 'এ' দল তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ় খেলা হবে। সেই সিরিজ়ে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির খেলার জল্পনা থাকলেও, তাঁদের দলে রাখা হয়নি। শ্রেয়স ইরানি ট্রফিতে না থাকলেও এই ম্যাচেগুলিতে তিনিই দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। গত বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন বিদর্ভের বিরুদ্ধে ১ অক্টোবর থেকে ইরানি ট্রফির ম্যাচ খেলা হবে নাগপুরে।