নয়াদিল্লি: সাম্প্রতিক সময়ে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) মধ্যেকার সম্পর্ক তথা বিবাদ বারংবার শিরোনাম কেড়েছে। সৌরভের বিসিসিআইয়ের সভাপতি থাকার সময়ই বিরাট কোহলি জাতীয় দলের অধিনায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন বিরাট। সেই নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা চলেছে। সৌরভ দাবি করেছিলেন বোর্ড বিরাটকে ইস্তফা না দেওয়ার আবেদন করেছিল। তবে বিরাট সম্পূর্ণ ভিন্ন দাবি করেন। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। তবে সৌরভ কিন্তু নিজের দাবিতে অনড়।


তিনি বলেন, 'বিরাট কোহলির টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার জন্য কিন্তু বিসিসিআই প্রস্তুত ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর হঠাৎ করে এমন একটা সিদ্ধান্ত আমাদের সকলকেই চমকে দিয়েছিল। আমরা সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। শুধু কোহলিই জানে ও কেন অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াল। তবে এখন আর এ বিষয়ে কথা বলার কোনও মানে নেই। নির্বাচকদের তো একজনকে অধিনায়ক নিয়োগ করতেই হত। রোহিতই (শর্মা) ওই সময় সেরা বিকল্প ছিল।'


ভারত রোহিতের অধিনায়কত্বে টেস্টের সেরা হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করলেও, সৌরভ কিন্তু এখনও রোহিতকে (Rohit Sharma) অধিনায়ক পদে বহাল রাখার পক্ষেই। তিনি বলেন, 'দিনের শেষে অধিনায়ক বাছাইয়ের কাজটা তো নির্বাচকদের, এই সিদ্ধান্ত সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারা কীভাব প্রভাবিত হতে পারে? বিরাট নিজেই বছর দুই আগে আর টেস্টে অধিনায়কত্ব করতে চায়নি। আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে ভারতের অধিনায়ক ও কোচ কার হওয়া উচিত, আমি কিন্তু এখনও রোহিত এবং রাহুলের কথাই বলব। এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।'


বিরাটের অধিনায়কত্বে ভারতীয় দল বিদেশের মাটিতে বিশেষত টেস্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও, কোনও আইসিসি ট্রফি জিততে পারেনি। বিরাটের পর রোহিতের অধিনায়কত্বেও কিন্তু এই নিয়ে দুই বছরে দ্বিতীয় আইসিসি খেতাব হাতছাড়া করল ভারত। এই নিয়ে অনেকেই আইপিএলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে। এরই মাঝে সৌরভের দাবি বিশ্বকাপ জেতার থেকে কিন্তু আইপিএল জেতা অনেক কঠিন। তিনি বলেন, 'আইপিএল জেতাটা বিশ্বকাপ জয়ের থেকে অনেক বেশি কঠিন। গ্রুপ পর্বে ১৪টি ম্যাচ খেলার পর প্লে অফ খেলতে হয় আইপিএলে। সেখানে বিশ্বকাপে চার পাঁচটি ম্যাচ খেলার পরেই দলগুলি সেমিফাইনাল এবং সেখান থেকে ফাইনালে পৌঁছয়।'


এবিপি আনন্দ এখন টেলিগ্রামেও, ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: চুলের রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দূর করতে সারাবছরই প্রয়োজন যত্ন, কীভাবে পরিচর্যা করবেন?