কলকাতা: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সচিনকে ছুঁলেন বিরাট।
বিরাটের নজির
এর আগেই বিরাট দ্বীপরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আটটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। ৯০-র অধিক স্ট্রাইক রেট ও ৬০-র গড়ে রান ছিল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। নিজের সেই অসাধারণ রেকর্ড অব্যাহত রাখলেন 'কিংগ কোহলি'। এই শতরানের ফলে সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) কৃতিত্বেও ভাগ বসালেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক। এতদিন পর্যন্ত সচিনই এককভাবে ঘরের মাঠে ওয়ান ডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ২০টি শতরান করেছিলেন। আজকের এই শতরানে কোহলিও ভারতের মাটিতে ২০তম শতরান করে ফেললেন। তবে আরেকটি রেকর্ড হাতছাড়া হল বিরাটের। এদিন মাত্র ৮০ বলে নিজের সেঞ্চুরি হাঁকান সচিন।
মাঠ পরিদর্শন
আজ মঙ্গলবারই, ম্যাচের দিন দু'য়েক আগে ইডেন গার্ডেন্সের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে মাঠ পরিদর্শনে পৌঁছন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তবে বিনীত গোয়েলের এদিন কিন্তু একা ইডেন পরিবদর্শনে যাননি। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্তারাও মাঠের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে এদিন মাঠে পৌঁছন। ম্যাচের দিন খেলোয়াড়দের নিরাপত্তায় যাতে কোনোরকম আপোস না করা হয়, তা নিশ্চিত করাই কলকাতা পুলিশের এই পরিদর্শনের প্রধান লক্ষ্য।
বুমরা কেন বাদ?
প্রায় চার মাস পরে তিনি জাতীয় দলে ফিরেছেন। ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা আশা করেছিলেন, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে বল হাতে ফের আগুন ছোটাবেন যশপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah)। কিন্তু সোমবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছেন ডানহাতি পেসার।
আইসিসি প্লেয়ার অফ দ্য মন্থ
আইসিসি প্লেয়ার অফ দ্য মন্থ হলেন ইংল্যান্ডের তরুণ ডানহাতি ব্যাটার হ্যারি ব্রুক। তাঁর লড়াই ছিল মূলত পাকিস্তানের বাবর আজম ও অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেডের সঙ্গে। কিন্তু সবাইকে টেক্কা দিয়ে ডিসেম্বরের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে বেছে নেওয়া হল ব্রুককে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই সিরিজে তিন ম্যাচে ৪৬৮ রান বোর্ডে তুলেছিলেন ২৩ বছরের এই তরুণ ব্য়াটার।
কন্যাশ্রী কাপে জয় লাল হলুদের
কন্যাশ্রী কাপে বড় জয় ছিনিয়ে নিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। তারা হারিয়ে দিল বেহালা ঐক্য সম্মীলনীকে। শুধু জয়ই নয়। ক্লাব ফুটবলে রেকর্ড গড়ল ইমামি ইস্টবেঙ্গল মহিলা ফুটবল দল। ৩৫-০ ব্যবধানে তারা জয় পেল। ইমামি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেন গীতা (৩, ২০, ২৭, ৩৯, ৪০), দেবলীনা (৮, ২১, ২৩, ২৯, ৩৫), তনুশ্রী (১৩, ১৮), কবিতা (১৫, ৪৩, ৫০, ৫২, ৭০, ৭৫), বিরসি (৩১), সুস্মিতা (৩২, ৩৬, ৩৮, ৬৭), মৌসুমী (৫৯, ৭৯, ৮১, ৮৫, ৮৬, ৯০), ঐশ্বর্য (৬৯, ৭৭, ৭৯), পিয়ালি (৭৪), সুলঞ্জনা (৭৫, ৮৯)। ক্লাব ফুটবলে এটি নজির। কোনও ম্যাচে একটি দল এত গোল করতে পারেনি। আইএফএ আয়োজিত কোনও প্রতিযোগিতাতেও এক ম্যাচে এত গোল হয়নি।