কলকাতা: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা মুকেশ কুমার। বক্সিং ডে টেস্টে দ্বিশতরান হাঁকালেন ডেভিড ওয়ার্নার। দেখে নেওয়া যাক আজকের সেরা খেলার খবরের এক ঝলক -


জাতীয় দলে টি-টোয়েন্টিতে বাংলার মুকেশ


কিছুদিন আগেই আইপিএলে রেকর্ড গড়েছিলেন। নিলামের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি বাংলার ক্রিকেটার হিসেবে তাঁকে দলে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এবার জাতীয় দলের সীমিত ওভারের ফর্ম্যাটে খেলার সুযোগ চলে এল মুকেশ কুমার। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে জায়গা করে নিলেন বাংলার পেসার। ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার হয়ে খেলেন বিহারের এই ক্রিকেটার। বিহারের গোপালগঞ্জের মুকেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক হয় বাংলার জার্সিতেই। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজেও সুযোগ পেয়েছিলেন মুকেশ কুমার। আইপিএলের মিনি নিলামে বাংলার ক্রিকেটারদের মধ্যে উজ্জ্বল মুকেশ কুমার। সাড়ে ৫ কোটি টাকা দাম পেলেন নিলামে। বিরাট অঙ্কে বাংলার পেসারকে তুলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস।


আইপিএলে ব্রাত্য সন্দীপ শর্মা


আইপিএলে যতগুলো মরসুম খেলেছেন নিজের ছাপ রেখেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটেও ধারাবাহিক ভাল পারফর্ম করে এসেছেন। কিন্তু এবারের নিলামে কোনও দল পাননি সন্দীপ শর্মা। তিনি বলছেন, ''আমি হতবাক ও হতাশ। কেন আমি অবিক্রিত হয়ে গেলাম জানি না। আমি এখন পর্যন্ত যত দলে ছিলাম তার জন্যই ভালো করেছি। আমি ভেবেছিলাম কিছু দল আমার জন্য বিড করবে। সত্যি কথা বলতে, নিলামে দল পাব না, এমনটা কখনও ভাবিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভাল পারফর্ম ছিল। রঞ্জি ট্রফির শেষ রাউন্ডেও ৭ উইকেট নিয়েছিলাম আমি। মুস্তাক আলিতেও সাফল্য পেয়েছি। কিন্তু তবুও কোনও দল আমাকে নিয়ে আগ্রহ দেখাল না।"


প্রদীপ্তর ৫ উইকেট


নাগাল্যান্ডের (Nagaland) বিরুদ্ধে রঞ্জিতে (Ranji Trophy) নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে খেলতে নামল বাংলা (Bengal)। প্রথম দিনেই বাংলার বোলারদের দাপট দেখা গেল। নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নিলেন তরুণ বঙ্গ স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামানিক (Pradipta Pramanik)। মূলত তাঁর বোলিং দাপটেই দিনের শেষে নাগাল্য়ান্ডের স্কোর ১৬৬/৯। এদিন অভিষেক হল করণ লালের (Karan Lal)। যদিও এদিন ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি তিনি।


দ্বিশতরান ওয়ার্নারের


এটি ওয়ার্নারের কেরিয়ারের ২৫তম টেস্ট শতরান ছিল। বিশ্বক্রিকেটে মাত্র সাতজন ব্যাটারই ওয়ার্নারের থেকে অধিক টেস্ট শতরান করেছেন। প্রসঙ্গত, এই ইনিংসেই তিনি আট হাজার টেস্ট রানের গণ্ডি পার করে অস্ট্রেলিয়ার সপ্তম সর্বোচ্চ টেস্ট রানসংগ্রাহক হয়ে যান। ওয়ার্নার শতরান হাঁকালেও স্মিথকে ৮৫ রানেই সাজঘরে ফিরতে হয়। দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর তিন উইকেটের বিনিময়ে ৩৮৬ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে ১৯৭ রানে এগিয়ে অজিরা।