নয়াদিল্লি: যে কোনও ক্রীড়াবিদের জন্যই ফিটনেস ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান দিনে ক্রিকেটে ফিটনেস তো আরও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team) নির্বাচনও এই ফিটনেসের ভিত্তিতেই হয়। ক্রিকেটারদের ফিটনেস যাচাই করা হয় ইয়ো ইয়ো টেস্টের (YoYo Test)। যে পরীক্ষায় পাস না করতে পারলে ক্রিকেটাররা দলে নির্বাচিত হন না বলেই দাবি করা হয়ে থাকে। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) জনসমক্ষে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র আগ্রহী নয়।
সম্প্রতি এশিয়া কাপের আগে বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় দলের অনুশীলন শিবিরে ক্রিকেটারদের ইয়ো ইয়ো টেস্ট হয়। সেই ইয়ো ইয়ো টেস্টের পর বিরাট কোহলি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীক্ষায় নিজের স্কোর প্রকাশ করে দেন। তাঁর ইয়ো ইয়ো টেস্টে স্কোর ছিল ১৭.২ (ন্যূনতম ১৬.৫)। তবে খবর অনুযায়ী শুভমন গিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৮.৭ স্কোর করেন। কোহলির সর্বসমক্ষে নিজের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ করার ঘটনাটি বিসিসিআইয়ের একেবারেই মনঃপুত হয়নি বলে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছ। বোর্ড নাকি ভবিষ্যতে খেলোয়াড়দের এমনভাবে ইয়ো ইয়ো টেস্টের ফল জনসমক্ষে প্রকাশ করার জন্যও নিষেধ করেছে। তবে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল গাওস্করের (Sunil Gavaskar) মতে ইয়ো ইয়ো টেস্ট যদি দলে সুযোগ পাওয়ার মাপকাঠি হয়, তাহলে সর্বসমক্ষে সেই পরীক্ষা করা উচিত।
গাওস্করের মতে, 'কোহলি নিজের ইয়ো ইয়ো টেস্টের ফল প্রকাশ করার পর সেই নিয়ে অনেক মাতামাতি হয়। তবে কোহলির থেকে শুভমন গিলের স্কোর বেশি হওয়াটা কিন্তু অবাক করার মতো কিছু নয়। দুইজনের মধ্যের বয়সের তফাৎটা ভুললে চলবে না এবং সেই কারণে কোহলি যে ফিটনেসটা ধরে রেখেছে, তার জন্য ওর বাহবা প্রাপ্য। তবে তারপরেই বিসিসিআই কাউকে নিজের ইয়ো ইয়ো টেস্টের ফল প্রকাশ করার জন্য মানা করে, যার ফলে অনেকেই কিন্তু রক্ষা পেয়ে যায়।'
তিনি আরও যোগ করেন, 'যদি ইয়ো ইয়ো পাস না করলে দলে সুযোগ না পাওয়ার কথাটা সত্যি হয়, তাহলে তো আরও বেশি করে জনসমক্ষে এই পরীক্ষাটি হওয়া উচিত। যে কোটি কোটি ভক্তরা এই খেলাটাকে দেখে, অনুসরণ করে তাদেরও তো জানা উচিত যে সকলে এই পরীক্ষা পাস করে তবেই দলে সুযোগ পেয়েছেন।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: দল থেকে বাদ পড়েও, ভারতীয় সতীর্থদের বিশ্বকাপের জন্য শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে মন জিতলেন ধবন