নয়াদিল্লি: পয়েন্ট টেবিলে দুই লাস্ট বয়ের লড়াই। প্লে অফের অঙ্ক দু দলের কাছেই কঠিন। কিন্তু তবুও লড়াই ছাড়লে তো হবে না। এমন মনোভাব নিয়েই আজ মাঠে নেমেছে দিল্লি ক্যাপিটালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আর ম্যাচের প্রথম কুড়ি মিনিটের লড়াইয়ের পর এমনটা বলাই যায় যে, একটু হলেও এগিয় গেল সানরাইজার্স শিবির। তার নেপথ্যে অভিষেক শর্মা ও হেনরিচ ক্লাসেন। ২ জনেই মারকাটারি ব্যাটিং করে অর্ধশতরান হাঁকালেন। এমনকী নির্ধারিত ২০ ওভারে দলকে পৌঁছে দিলেন ১৯৭/৬ স্কোরে। ওয়ার্নার বাহিনীকে এই ম্যাচ জিততে হলে পাহাড়প্রমাণ ১৯৮ রান করতেই হবে। 


এদিন দিল্লির ঘরের মাঠ অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে প্রথমে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। ওপেনিংয়ে ময়ঙ্ক আগরওয়াল মাত্র ৫ রান করে ফিরে গেলেও অভিষেক শর্মা এদিন দুর্দান্ত ছন্দে ব্যাট করছিলেন। রাহুল ত্রিপাঠী মাত্র ১০ রান করেন। মারক্রামও ৮ রানে ফেরেন। ইডেনে কেকেআরের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকানো হ্যারি ব্রুক খাতাই খুলতে পারেননি এদিন। দ্রুত উল্টোদিকে উইকেট পড়লেও অর্ধশতরান মিস করেননি অভিষেক। যদিও শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। ইনিংসে ১২টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। 


অভিষেক ফিরে যাওয়ার পর দলের হাল ধরেন হেনরিচ ক্লাসেন। তিনি শেষ পর্যন্ত ২৭ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। নিজের ইনিংসে ২টো বাউন্ডারি ও ৪টে ছক্কা হাঁকান তিনি। তাঁকে যােগ্য সঙ্গ দেন আব্দুল সামাদ। ২১ বলে ২৮ রান করেন তিনি। শেষে ক্যামিও ১০ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলেন আকিল হোসেন। 


দিল্লি বোলারদের মধ্য়ে এদিন মিচেল মার্শ ৪ ওভারে ২৭ রান খরচ করে ৪ উইকেট নেন। এছাড়া কোনও বোলারই প্রভাব ফেলতে পারেননি। ৩ ওভারে ৩১ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন ইশান্ত। অক্ষর পটেল ৪ ওভারে ২৯ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন। 


ইডেনে কেকেআরের হার


২০১৯ বিশ্বকাপে তাঁর থ্রি ডি শো ফ্লপ হয়েছিল। জাতীয় দল থেকে ছাঁটাই হয়ে গিয়েছিলেন বিজয় শঙ্কর (Vijay Shankar)। এবারের আইপিএলে যাঁর পুনর্জন্ম হয়েছে। শনিবার ইডেনে (Eden Gardens) যিনি কেকেআরের (KKR vs GT) ঘাতক হয়ে হাজির হলেন। ২৪ বলে ম্য়াচ জেতানো ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ২টো বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কা। নিজেদের মাঠে রিঙ্কুর ৫ ছক্কার চাবুকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল গুজরাত টাইটান্স। এবার নাইটদের ডেরায় এসে মধুর প্রতিশোধ নিল গুজরাত। ১৩ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে কেকেআরকে হারাল গুজরাত। ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট-সহ লিগ শীর্ষে পৌঁছে গেল গুজরাত।