কলকাতা: সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির (Syed Mushtaq Ali T20) ২৮টি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে সিএবি। এক ঝাঁক নামী তারকা খেলতে এসেছেন কলকাতায়। কলকাতা নাইট রাইডার্স ভক্তদের নয়নের মনি রিঙ্কু সিংহ (Rinku Singh) থেকে শুরু করে গতবার কেকেআরের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার বেঙ্কটেশ আইয়ার, ভুবনেশ্বর কুমার, সচিন-পুত্র অর্জুন তেন্ডুলকর, পৃথ্বী শ, উমরন মালিকরা সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টের এলিট গ্রুপ বি পর্বের ম্যাচ খেলতে শহরে রয়েছেন।

Continues below advertisement


আর তার মাঝেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট দলের একটি অভিযোগকে কেন্দ্র করে। সল্ট লেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর চেয়েও পর্যাপ্ত আইসবাথ পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ রিঙ্কু সিংহ-ভুবনেশ্বর কুমারদের দলের। উত্তর প্রদেশের ম্যানেজার শুক্রবার মাঠে দাঁড়িয়েই বোর্ডকে ই-মেল করে অভিযোগ জানানোর হুঁশিয়ারিও দেন।


যদিও উত্তর প্রদেশের সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে সিএবি। ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন উত্তর প্রদেশের ম্যানেজার, সামান্য দেরি হলেও আইসবাথের ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে পাল্টা দাবি করলেন সিএবি-র প্রতিনিধি।


ঠিক কী হয়েছে? সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টের ২৮টি ম্যাচ পড়েছে কলকাতায়। ১৪টি ম্যাচ হচ্ছে ইডেন গার্ডেন্সে। ১৪টি ম্যাচ পড়েছে সল্ট লেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে। শুক্রবার সল্ট লেকে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল উত্তর প্রদেশ ও জম্মু ও কাশ্মীর। সেই ম্যাচে জম্মু ও কাশ্মীরকে উড়িয়ে দেয় উত্তর প্রদেশ।


উত্তর প্রদেশ শিবিরের অভিযোগ, ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে আইসবাথের বন্দোবস্ত করতে বলা হয়েছিল সিএবিকে। কিন্তু তার আয়োজন  নাকি করতে পারেনি সিএবি। যা নিয়ে ম্যাচের শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করেন উত্তর প্রদেশ দলের ম্যানেজার।


সল্ট লেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্ট আয়োজনের তদারকি করছেন সিএবি কর্মী গোবিন্দ চাকি। তিনি উত্তর প্রদেশের অভিযোগ নস্যাৎ করে দিলেন। বললেন, 'আমরা দুটি ড্রেসিংরুমে নিয়ম মেনে একটি করে আইসবাথের ড্রাম রেখেছিলাম। তবে জম্মু ও কাশ্মীরের ক্রিকেটারেরা আইসবাথ নেবেন না জানানোর পর উত্তর প্রদেশের ড্রেসিংরুমে বাড়তি একটি আইসবাথের বন্দোবস্ত করতে বলা হয়। আমরা সেই দ্বিতীয় ড্রামটির ব্যবস্থাও করি। মিনিট দশেক দেরি হয়। তাতেই উত্তর প্রদেশের ম্যানেজার বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। আমরা আইসবাথের ব্যবস্থা করতে পারিনি, এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।'