নয়াদিল্লি: বিশ্ব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে এমনটা আগে কখনও হয়নি। কোনও দেশে, কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও এমনটা হয়নি। এবারই প্রথবার সেই অবাক করা কাণ্ড ঘটালো দিল্লি ক্রিকেট অ্য়াসোসিয়েশন। মণিপুরের বিরুদ্ধে ম্য়াচে ১১ জন প্লেয়ারই বল করলেন। বিশ্ব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে দিল্লিই প্রথম দল, যাদের ১১ জনই একটি ম্য়াচে বল করলেন। তালিকা থেকে বাদ গেলেন না উইকেটকিপারও। এমনকী দিল্লির অধিনায়ক আয়ুশ বাদোনিও বল করে উইকেট তুলে নিলেন। একটি ওভার মেডেনও দেন তিনি।
ম্য়াচে ৪ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল দিল্লি। গ্রুপ সি-তে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান ধরে রাখল দিল্লি শিবির। তাঁদের ঝুলিতে এখন ১৬ পয়েন্ট। চার ম্য়াচ খেলতে নেমে চারটিতেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজি। ম্য়াচে টস জিতে মণিপুরকে ব্যাটিংয়ের জন্য আমন্ত্রণ জানান দিল্লি অধিনায়ক আয়ুশ বাদোনি। মণিপুর ৮ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২০ রানই বোর্ডে তুলতে পারে।
রান তাড়া করতে নেমে ৫১ বলে ৫৯ রানের ম্য়াচ জেতানো ইনিংস খেলেন যশ ধূল। তিনিই ম্য়াচের সেরা হন। নিজের ইনিংসে আটটি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা হঁকান তরুণ ওপেনার। ৯ বল বাকি থাকতেই ম্য়াচ জিতে নেয় দিল্লি দল। তবে জয়ের থেকে শিরোনামে উঠে এসেছে দিল্লির ১১ প্লেয়ারের বল করার বিষয়টি।
এদিকে, বঢোদরা বনাম ত্রিপুরা ম্য়াচে এক ওভারে চারটি ছক্কা হাঁকালেন হার্দিক পাণ্ড্য। ম্য়াচে বঢোদরার ব্যাটিংয়ের সময় ১০ নম্বর ওভারে ত্রিপুরার স্পিনার পারভেজ সুলতানকে এক ওভারে চারটি ছক্কা হাঁকান ভারতীয় দলর তারকা প্লেয়ার। সেই ওভারের প্রথম, তৃতীয়, চতুর্থ ও শেষ বলে ছক্কা হাঁকান হার্দিক। পঞ্চম বলটিতে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। মুস্তাকে বঢোদরার আগের ম্য়াচে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধেও ব্য়াট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন এই ক্রিকেটার। ৩০ বলে ৬৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ২২২ রান তাড়া করতে নেমে সেই ম্য়াচ ভারতীয় অলরাউন্ডারের মারমুখি ব্যাটিংয়ের সুবাদেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল বঢোদরা। ঘরোয়া ক্রিকেটে চলতি মরশুমে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন হার্দিক। গুজরাতের বিরুদ্ধে ৩৫ বল ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে ২১ বলে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।