নয়াদিল্লি: টি-টোয়েন্টি (T20 Crickete) ক্রিকেটের ইতিহাসেই নয় শুধু, ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্যাচটা হয়ত তিনি লুফে নিয়েছিলেন সেদিন। সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে ফাইনালে ব্য়াট হাতে রান না পেলেও শেষ ওভারে ফিল্ডিংয়ে যে কামাল দেখিয়েছেন, তাতেই সবটা পুষিয়ে দিয়েছেন তিনি। দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে সাক্ষাতেও ক্যাচ প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। সূর্য জানালেন যে কীভাবে তিনি মাথা ঠাণ্ডা রেখে ক্য়াচটা ধরে নিয়েছিলেন। 


প্রধামন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তরে সূর্য বলেন, ''বল যখন আকাশে ছিল, তখন আমি ভাবিনি যে ক্যাচটা ধরব। আমার মাথায় ছিল শুধু যে বলটা কোনওভাবে আটকে দিয়ে বাউন্ডারি বাঁচিয়ে দেব। কারণ হাওয়াও বিপরীত দিকে চলছিল। যখন বলটা একবার হাতে ধরেছিলাম, তখন ভাবছিলাম যে রোহিতের দিকে তা ছুড়ে মারব, কিন্তু রোহিত অনেক দূরে ছিল। ফলে নিজেই দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় ধরব ভেবেছিলাম।"


কিন্তু এমন চাপের মুহূর্তে এমন ক্যাচ কীভাবে লুফলেন। যেখানে ওটা ছক্কা হলেই ম্য়াচের রং বদলে যেতেই পারত। ভারতীয় দলের ডানহাতি তারকা ব্যাটার বলছেন, ''আমি সবসময় জানতাম যে ব্যাট হাতে আমি দলের জন্য শুধু অবদান রাখছি, আর কী করা যেতে পারে। তাই ফিল্ডিংয়েও নিজের সেরাটা দিতে চাইছিলাম। তাছাড়া ওমন ক্যাচ এর আগেও অনুশীলনে অনেকবার নিয়েছি। তাই অসুবিধে হয়নি।''


সূর্যের কথাতেই সায় দেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই ভারতের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানো রাহুল দ্রাবিড়। তিনি বলেন, ''এমন ক্যাচ সূর্য বোধহয় অন্তত পক্ষে ১৫০-১৬০ ক্যাচ নিয়েছে অনুশীলনে। আইপিএল থেকে ফেরার পরই এমন ক্যাচ বারবার নিয়েছি অনুশীলনে। কিন্তু আমি জানতাম যে ভগবান এমন একটা মুহূর্তে আমার জন্য এমন একটা ক্যাচ ধরার পরীক্ষা নেবে। অনুশীলনে এতবার এই ক্যাচ ধরেছি, যা আমাকে মাথা ঠাণ্ডা রাখতেও সাহায্য করেছে।''


উল্লেখ্য, হার্দিক পাণ্ড্য যখন শেষ ওভার করতে এলেন, তখন প্রোটিয়াদের দরকার ছিল ১৬ রান। প্রথম বলেই ফুলটস বল দেন হার্দিক। যা বাউন্ডারির বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সূর্য বাধা হয়ে দাঁড়ান। বাউন্ডারি লাইনে অসাধারণ ম্য়াচ জেতকানো ক্যাচ লুফে নেন তিনি। ৭ রানে সেই ম্য়াচ জিতে যায় ভারত।


আরও পড়ুন: ভারতের স্পিন ফাঁদে হাঁসফাঁস জ়িম্বাবোয়ে, ১১৫/৯ স্কোরে আটকে গেলেন রাজারা