বার্বাডোজ: চূড়ান্ত অব্যবস্থার শিকার দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল (South Africa Cricket Team)। আগামীকাল ফাইনালে ভারতের (India vs South Africa) বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে উটকো ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে এইডেন মারক্রাম (Markram), কাগিসো রাবাডাদের (Rabada)। বিমানবন্দরেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হল তাঁদের বিমান ধরার জন্য। এমনকী শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল নয়। আটকে পড়লেন আইসিসির কয়েকজন অফশিয়াল, আম্পায়ার ও ভারাভাষ্যকাররাও। এমনকী ক্রিকেটারদের পরিবার ও বাচ্চারাও আটকে ছিলেন। পরে নির্ধারিত সময়ের ৬ ঘণ্টা পরে বার্বাডোজের জন্য রওনা দেয় মারক্রামদের বিমান।


আসলে ত্রিনিদাদ থেকে বার্বাডোজ উড়ে যাওয়ার কথা ছিল প্রোটিয়া শিবিরের। কিন্তু টেক অফের মাত্র কিছুক্ষণ আগে ক্রিকেটারদের জানানো হয়, রানওয়ে বন্ধ থাকার কারণে নির্দিষ্ট সময় তাঁদের বিমান উড়তে পারবে না। সূত্রের খবর, একটি ব্যক্তিগত বিমানের অবতরণের জন্য সমস্যা তৈরি হয়েছিল। নিরাপত্তাজনিত ইস্যুর জন্যই নাকি বার্বাডোজ বিমানবন্দরের রানওয়ে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টদের এভাবে ভোগান্তি হয়। বাধ্য হয় ৬ ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করার পর তাঁদের বিমান ছাড়ে। 


ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এই সমস্যায় এর আগেও পোহাতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। সেমিফাইনাল খেলতে আসার আগে রশিদ খানদের এভাবেই ৪ ঘণ্টা দেরি করেছিল বিমান। ঘুমের সমস্যা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন আফগান ক্রিকেটাররা। সেই পরিস্থিতিতেই শেষ চারের লড়াইয়ে খেলতে নেমেছিল তাঁরা। সেই ম্য়াচেই হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় রশিদ খানের দল। অন্যদিকে প্রথমবারের জন্য বিশ্বকাপের মঞ্চে ফাইনালে পৌঁছালো দক্ষিণ আফ্রিকা। 


আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট ছিল বোলারদের পারফরম্য়ান্স। কাগিসো রাবাডা, মহারাজ, মার্কো ইয়েনসেনদের বোলিংয়ের সামনে অনভিজ্ঞ আফগান ব্য়াটিং ধরাসায়ী হয়ে পড়েছিল। আবার গতকাল ভারতীয় দল যেভাবে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে তাতেও বােলারদের প্রশংসা প্রাপ্য। বিশেষ করে স্পিন বোলিং আক্রমণ। অক্ষর, কুলদীপ মিলে ৬ উইকেট নিয়েছেন। টপ অর্ডারে ভাঙন ধরিয়েছেন বুমরা। এছাড়া হার্দিক, জাডেজার অলরাউন্ড পারফরম্য়ান্স তো আছেই। আগামীকালের ফাইনালে কিন্তু এই দুই দলের মহারণে বড় প্রভাব ফেলতে পারে দু দলের বোলিং অ্য়াটাকই। আগামীকাল বার্বাডোজের ব্রিজটাউনের কিংস্টোন ওভালে মুখােমুখি হবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। 


আরও পড়ুন: ৭ ম্য়াচে ৬ জন পেলেন প্লেয়ার অফ দ্য ম্য়াচের পুরস্কার, টিমগেমই সাফল্যের মন্ত্র ভারতের