নিউ ইয়র্ক: খাতায় কলমে অনেকটা এগিয়ে থেকেই মাঠে নেমেছিলেন বাবর আজমরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বড় রান বোর্ডে তুলবে পাক শিবির, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু তেমনটা হল না। বরং নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৯/৭-এর বেশি বোর্ডে তুলতেই পারল না পাক শিবির। একমাত্র ৪৪ রানের ইনিংস খেললেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। তাও ৪৩ বল খেললেন তিনি। এছাড়া টপ অর্ডারের কোনও ব্যাটারই ক্রিজে সেট হয়ে রান পেলেন না। শাদাব খান ও লোয়ার অর্ডারে শাহিন আফ্রিদি কিছুটা লড়াই করলেন। 


নিজেদের প্রথম ম্য়াচে যুক্তরাষ্ট্র কানাডার বিরুদ্ধে বড় ব্য়বধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। তাই এদিনের ম্য়াচে নামার আগে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নেমেছিল মোনাক পটেলের দল। পাকিস্তানের হয়ে ওপেনে নামবেন মহম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। মাত্র ৯ রান করে আউট হন পাকিস্তানের উইকেট কিপার ব্যাটার। উসমান খান ৩ রান করে ফেরেন। তবে বাবর আজম একদিকে টিকে থাকার চেষ্টা করেছিলেন ক্রিজে। শাদাব খান এরপর এসে পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন বাবরের সঙ্গে। ২৫ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। একটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনি। কাউন্টার অ্যাটাকের চেষ্টা করছিলেন পাকিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার। আজম খান খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। প্রথম দিকে একটু থিতু হওয়ার চেষ্টা করছিলেন বাবর। পরে অবশ্য চালিয়ে খেলা শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত ৪৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন পাক অধিনায়ক। লোয়ার অর্ডারে ১৬ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেন শাহিন আফ্রিদি। একটি বাউন্ডারি ও দুটো ছক্কা হাঁকান পাক পেসার। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। 


 






নিউ ইয়র্কের বোলারদের মধ্যে কেনজিগে ৪ ওভারে ৩০ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন। নাত্রাভালকার ৪ ওভারে ১৮ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন। আলি খান ৪ ওভারে ৩০ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন। আগামী ৯ তারিখ ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে এই ম্য়াচে যুক্তরাষ্ট্রকে হারাতে মরিয়া থাকবে পাকিস্তান দল।