নিউ ইয়র্ক: ভারতীয় স্কোয়াডে রোহিত-বিরাটের পর সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। দেশের তো অবশ্যই বিশ্ব ক্রিকেটের অন্য়তম সেরা স্পিনার অলরাউন্ডার। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে ব্যাট হাতে একেবারেই সাফল্য নেই রবীন্দ্র জাডেডার। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসকে চলতি বছরের আইপিএলের প্লে অফে অল্পের জন্য তুলতে পারেননি। ২০২৩ আইপিএলে ফাইনালেও এই জাডেজার ব্যাট থেকেই এসেছিল উইনিং শট। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে একেবারেই চেনা জাডেজাকে পাওয়া যায়নি কোনওবার। বল হাতে অবশ্য ২১ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জাডেজার পারফরম্য়ান্স
২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবার দেশের জার্সিতে খেলতে নেমেছিলেন জাডেজা। এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে মোট ২২টি ম্য়াচ খেলেছেন। তার মধ্যে ৯ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মোট ৯৫ রানই করতে পেরেছেন শুধু। ব্য়ক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৬। একবার শূন্য় রানেও প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। জাডেজা লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতে নামেন মূলত। তাই সব ম্য়াচে তিনি ব্যাট করার সুযোগ পাননি। কিন্তু যতটুকু সুযোগ পেয়েছেন, তা সঠিক ভাবে কাজেও লাগাতে পারেননি।
বল হাতে অবশ্য জাডেজা বেশ ভাল পারফর্ম করেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। মোট ৭৪ ওভারে ৪৪৪টি বল করেছেন। ৫২৯ রান খরচ করেছেন। ১ ওবার মেডেন দিয়েছেন। ২১ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। সেরা বোলিং পারফরম্য়ান্স ১৫ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেওয়া। ৭.১৫ ইকনমি রেটে বোলিং করেছেন তিনি। শুধু ব্যাটিং বা বোলিংই নয় কিন্তু। জাডেজা একজন বিশ্বমানের ফিল্ডারও। এখনও পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট ১১টি ক্যাচ ধরেছেন। এক ম্য়াচে সর্বাধিক ২টো ক্যাচ লুফেছেন তিনি।
রবীন্দ্র জাডেজার ওপর আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনেকটাই নির্ভরশীল থাকবে রোহিত ব্রিগেড। কারণ ভারতের যে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে বিশ্বকাপের জন্য সেখানে অক্ষর পটেল রয়েছেন স্পিনার অলরাউন্ডার হিসেবে। কিন্তু জাডেজাকেই একাদশে দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতার জন্য। সেক্ষেত্রে বাড়তি দায়িত্বও বর্তাবে তাঁর ওপর। উল্লেখ্য, গত আইপিএলে একটি বিতর্কিত আউটের শিকার হতে হয়েছিল সৌরাষ্ট্রের অলরাউন্ডারকে। রাজস্থানে বিরুদ্ধে ম্যাচে সিএসকে ইনিংসের ১৬তম ওভারের পঞ্চম বল। বল করছিলেন আবেশ খান। তাঁর বলটিকে থার্ড ম্যানে পাঠিয়ে দ্রুত এক রান পূর্ণ করেন জাডেজা। দ্বিতীয় রান যখনই নিতে চান সেই সময় সঞ্জু স্যামসন বল থ্রো করে দেন। ফিরে নিজের ক্রিজে আসতে চেয়েছিলেন জাডেজা। কিন্তু একেবারে থ্রো করা বলের লাইনে মাঝ পিচে চলে আসেন সৌরাষ্ট্রের অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত তাঁকে তাই অবস্ট্রাকশন অফ দ্য ফিল্ড ঘোষণা করা হয়।