নিউ ইয়র্ক: নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আরও একটা অঘটন অল্পের জন্য হল না। হারতে হারতে ম্য়াচ জিতে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল প্রোটিয়া শিবির। মাত্র ১০৪ রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় ১২ রান ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে পার্টনারশিপ গড়েন ডেভিড মিলার ও ত্রিস্টান স্টাবস। অর্ধশতরানের ইনিংস খেলে দলকে তরী পার করিয়ে দেন কিলার মিলার। দু ম্য়াচ খেলে দু ম্যাচ জিতে গ্রুপ ডি-তে শীর্ষেই থাকল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। খাতায় কলমে অনেকটই দুর্বল ডাচ ব্যাটিং লাইন আপ। বিশেষ করে উল্টোদিকে যখন রাবাডা, বার্টম্যান, ইয়েনসেন, নোকিয়ার মত বোলার রয়েছেন। এদিন শুরু থেকেই টানা উইকেট হারাতে থাকে নেদারল্য়ান্ডসের ব্যাটিং লাইন আপ। চার নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে এঙ্গেনবেট ৪৫ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে দুটো বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। একমাত্র তিনিই কিছুটা লড়াই করেন প্রোটিয়া বোলিংয়ের সামনে। লোয়ার অর্ডারে তাঁকে সঙ্গে দিচ্ছিলেন ভ্যান বিক। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১০৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি নেদারল্যান্ডস।
অল্প রানের লক্ষ্যমাত্রা। হেসেখেলে জিতে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এমনই তো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রথম বলই রান আউট হলেন কুইন্টন ডি কক। কোনও বল খেলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হল তাঁকে। রেজা হেন্ড্রিক্সকেও মাত্র ৩ রানের মধ্যেই ফিরিয়ে দিলেন ভ্যান বিক। খাতা খোলার আগেই কিংগমার বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক মারক্রাম। কিংগমার দ্বিতীয় শিকার হলেন ফর্মে থাকা ক্লাসেনও। মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট খুঁইয়ে ধুঁকছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সময়ই ডেভিড মিলার ও ত্রিস্টান স্টাবস। শুরুতে আক্রমণাত্মক খেলছিলেন স্টাবস। ধীরে ধীরে হাত খোলেন মিলার। ৩৩ রান করে স্টাবস ফিরলেও মিলারকে ফেরাতে পারেননি ডাচ বোলাররা। ৫১ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকলেন। নিজের ইনিংসে মিলার ৩টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান। মূলত তাঁকে ফেরাতে না পারার জন্যই শেষ পর্যন্ত ম্য়াচ থেকে হেরে যেতে হল নেদারল্যান্ডসকে। তবে ম্য়াচ হারলেও যেভাবে লড়াই করলেন ডাচ দলের বোলাররা। তা যথেষ্ট প্রশংসনীয়।