অ্যান্টিগা: ক্রিকেট কতটা অনিশ্চিয়তার খেলা, এর থেকে ভাল উদাহরণ আর কী হতে পারে। রস্টন চেজ যখন কেশব মহারাজের উইকেট তুলে নিলেন, তখনই ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ক্যারিবিয়ান সমর্থকদের উল্লাস উদ্দীপনা চোখে পড়ার মত। কিন্তু মাত্র দুটো বলেই খেলার রং পুরো বদলে গেল। রাবাডার একটা বাউন্ডারি ও কুড়িতম ওভারের প্রথম বলে ইয়েনসেনের ছক্কা। সহজ ম্যাচ কঠিন করে হলেও শেষ পর্যন্ত জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। একই সঙ্গে সুপার এইটে তিনটি ম্য়াচেই জিতে সেমিফাইনালের টিকিট পাকা করে নিল মারক্রামের দল।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। ক্যারিবিয়ান শিবিরের হয়ে ওপেনে নেমেছিলেন কাইল মারার্স ও শাই হোপ। তবে হোপ খাতাই খুলতে পারলেন না। প্রথম ওভারেই স্টাবসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ডানহাতি ব্যাটার। মায়ার্স ৩টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকালেও ৩৪ বলে ৩৫ রান করেন। শুরু থেকেই ধীরগতিতে রান তুলতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যা দলের মিডল অর্ডারে চাপ বাড়ায়। পুরান ১ রান করে মারক্রামের শিকার হয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়ন। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন রস্টন চেজ। তিনি ৪২ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে দলের স্কোরকে সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছােতে সাহায্য করেন। নিজের ইনিংসে তিনটি বাউন্ডারি ও দুটো ছক্কা হাঁকান। অধিনায়ক রভমন পাওয়েলকে মহারাজ ও রাদারফোর্ডকে ফিরিয়ে দেন শামসি। রাসেল ৯ বলে ১৫ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন। একটা সময় মনে হচ্ছিল যে একশোর গণ্ডিও পেরবে না ক্যারিবিয়ান শিবির। কিন্তু চেজের ইনিংস ১৩৫ এ পৌঁছে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। লোয়ার অর্ডার ৭ বলে ১১ রান করেন আলজারি জোসেফ। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল তাবরেজ শামসি। ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ২৭ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন তিনি। ১টি করে উইকেট নেন ইয়েনসেন, মারক্রাম, মহারাজ ও রবাডা।
রান তাড়া করতে নেমে খাতা খোলার আগেই রাসেলের বলে আউট হয়ে ফেলেন রেজা হেন্ড্রিক্স। একই ওভারে ডি কককেও ফিরিয়ে দেন রাসেল। ৩টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১২ রান করলেও বড় রান করতে পারলেন না প্রোটিয়া উইকেট কিপার ব্যাটার। মারক্রামও ১৫ বলে ১৮ রান করে ফেরেন। এরই মাঝে বৃষ্টি নামে। কিছুক্ষণ খেলা স্থগতি থাকে। পরে ফের খেলা শুরু হলে ডি এল এস নিয়মে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৭ ওভারে ১২৩। স্টাবস ২৯ ও ক্লাসেন ২২ রান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ক্লাসেন ও মিলারকে পরপর ফিরিয়ে ফের ম্য়াচ জমিয়ে দিয়েছিলেন রস্টন চেজ। কিন্তু ক্রিজে অপরাজিত থেকে ইয়েনসেন ১৪ বলে ২১ রান করে দলকে সেমিফাইনালে তুলে মাঠ ছাড়েন। ম্য়াচের সেরা হন শামসি।