বার্বাডোজ: সোশ্য়াল মিডিয়ায় খুললেই সূর্যকুমার যাদব এখন ট্রেন্ডে। গত তিনদিন ধরে। একটা ক্যাচ ভারতকে যেমন বিশ্বকাপ জয়ের একেবারে শেষ সুযোগটা তৈরি করে দিয়েছিল, তেমনই একটা ক্যাচ জীবন বদলে দিয়েছে এই তারকা ক্রিকেটারেরও। ব্যাটে রান আসেনি ফাইনালের মঞ্চে। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে মিলারের অবিশ্বাস্য ক্য়াচ তালুবন্দি করার মুহূর্ত দেখে অনেকেই বলছেন এটাই তো বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্যাচ। যদিও তা নিয়ে বিতর্কও কম হচ্ছে না। বাংলাদেশের মিডিয়া থেকে বাংলাদেশের সমর্থকরা যেমন বিভিন্নভাবে প্রমাণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন যে এই ক্য়াচ লোফার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যর পা ছুঁয়ে ফেলেছে বাউন্ডারি লাইনে। তবে এবার এই ক্যাচ নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ। 


ফাইনালের সেরা ক্যাচের পুরস্কার হিসেবে সূর্যকুমারকে মেডেল তুলে দিয়েছেন বোর্ড সচিব জয় শাহ। ট্রফি জয়ের পর ড্রেসিংরুমে ফিরে  সেলিব্রেশনে মেতেছিলেন রোহিত, বিরাটরা, সূর্য, হার্দিকরা। তখনই ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ জয় শাহ-কে অনুরোধ করেন যে সূর্যকে যাতে মেডেল পরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দিলীপ বলেন, ''এমন ক্যাচ প্র্য়াক্টিসে ৫০ বার অন্তত নিয়েছে সূর্য। কোথায় দড়ি আছে এই বোধটা থাকা ভীষণভাবে দরকার। আর সঙ্গে আত্মবিশ্বাস যে, বল ধরে তা ছুড়ে ফেল লুফে নেওয়া সম্ভব। ওই সিদ্ধান্তটা নিতে পারাটাই সাহসের পরিচয়। খেলার মোড় ঘুরিয়েছে ওই ক্যাচটাই।''


এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোটিয়ারাও বিভিন্নভাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন যে এই ক্যাচটি কোনওভাবেই বৈধ নয়। এমনকী বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে ভিডিও ক্লিপ জুম করে পোস্টও করছেন তাঁরা। প্রত্যেকেরই বক্তব্য যে মিলারের ছয় রান পাওয়া উচিত ছিল। 


 






উল্লেখ্য, হার্দিক পাণ্ড্যর হাতে যখন শেষ ওভারের জন্য বল তুলে দেন রোহিত। তখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। প্রথম বলটি ফুলটস দেন হার্দিক। মিলার লং অফের ওফর দিয়ে ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করছিলেন। বল যখন শূন্যে ছিল, তখন অনেকেরই মনে হয়েছিল যে ছক্কা নিশ্চিতভাবেই হয়ে যাবে। কিন্তু আচমকাই বাউন্ডারি লাইনের এদম ধার থেকে দু বারের চেষ্টায় ক্যাচ লুফে নেন সূর্যকুমার। ওখানেই মূলত ম্যাচ পকেটে পুরে নিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।