লন্ডন: অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টের (ENG vs AUS 2nd Test) শেষদিনে এক ঐতিহাসিক ইনিংসের সাক্ষী হয়ে থাকল ক্রিকেটবিশ্ব। যদিও অস্ট্রেলিয়া ৪৩ রানে ম্যাচ জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ লিড নিতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস (Ben Stokes) কিন্তু একসময় হেডিংলের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। লর্ডসে ম্যাচের শেষ ইনিংসে ২১৪ বলে ১৫৫ রানের ইনিংসে ইংল্যান্ডকে সিরিজে সমতায় ফিরিয়ে আনার মরিয়া প্রয়াস করেছিলেন স্টোকস।
সিরিজে সমতায় ফেরার জন্য ইংল্যান্ডের সামনে দ্বিতীয় টেস্টে ৩৭১ রানের কঠিন লক্ষ্য রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। বেন ডাকেট ছাড়া যেখানে গোটা ইংল্যান্ড ব্য়াটিং লাইন আপই কার্যত ব্যর্থ হয়, সেখানে স্টোকসের চোখধাঁধানো শতরানে জয়ের একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। জস হ্যাজেলউডের বলে ১৫৫ রানেই শেষ হয় স্টোকসের ইনিংস। ম্যাচ হারলেও, তাঁর ইনিংসের প্রশংসায় গোটা ক্রিকেটবিশ্ব। সেই তালিকায় সামিল তারকা ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলিও (Virat Kohli)। স্টোকসের লড়াকু মানসিকতার প্রশংসা করে মুগ্ধ কোহলি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'আমি কিন্তু মজার ছলে বেন স্টোকসকে আমার দেখা সবথেকে লড়াকু প্রতিপক্ষ একেবারেই বলিনি। সর্বোচ্চ দরের একটি ইনিংস খেলল ও। তবে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া দলটা অসাধারণ।'
পঞ্চম দিনের শুরুতে ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিজে ছিলেন বেন ডাকেট ও অধিনায়ক বেন স্টোকস। ডাকেট প্রথম ইনিংসে ৯৮ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। এদিন ভাল শুরু করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতরান পূরণের পর মনে হচ্ছিল যে লর্ডসে এবার বাঁহাতি ইংরেজ ওপেনারের ব্যাট থেকে শতরান আসতে চলেছে। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮৩ রানের মাথায় আউট হয়ে যান তিনি। হ্যাজেলউডের বলে অ্যালেক্স ক্যারির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। জনি বেয়ারস্টো নেমেছিলেন এরপর। কিন্তু তিনি বিতর্কিত আউটের শিকার হয়ে ফেরেন মাত্র ১০ রান করে। ক্যামেরন গ্রিনের একটি বাউন্সার থেকে মাথা বাঁচিয়ে নেওয়ার পর ক্রিজে ব্যাট না ঠেকিয়েই সোজাসুজি বেরিয়ে যান ক্রিজে থেকে। ঠিক তখনই অজি উইকেট কিপার অ্যালেক্স ক্যারি পেছন থেকে বল ছুড়ে উইকেট ভেঙে দেন।
এরপরই স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিয়ে বেন স্টোকস একেবারের টি-টোয়েন্টির গতিতে রান তোলার শুরু করেন। মারমুখি মেজাজে চার-ছক্কার বন্যা শুরু করেন লর্ডসে। এভাবেই ২০১৯ সালে হেডিংলে টেস্টে জ্য়াক লিচকে নিয়ে জয় এনে দিয়েছিলেন মারমুখি ব্যাটিং করে। এদিনও প্রায় কাছাকাছি চলেই এসেছিলেন। ১৫৫ রানের ইনিংস ৯টি বাউন্ডারি ও ৯টি ছক্কা হাঁকান স্টোকস। ব্রডকে নিয়ে একশো রানের ওপরে পার্টনারশিপও গড়ে তোলেন। কিন্তু হ্যাজেলউডের বলে তিনি ক্যাচ আউট হয়ে ফিরতেই ইংল্যান্ডের সব আশা শেষ হয়ে যায়। লোয়ার অর্ডারের পক্ষে স্টার্ক, কামিন্সদের মোকাবিলা করে জয় এনে দেওয়া সম্ভাব ছিল না। তবুও শেষ দিকে জশ টাঙ ১৯ রান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৩২৭ রানে শেষ হয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংস।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: মানবদেহে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে বজায় রাখতে অবশ্যই পাতে পড়ুক এই পাঁচ 'সুপারফুড'