বার্বাডোজ: ২ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তাঁরা। কিন্তু সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের আঁধার নেমে এসেছে। প্রথমবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে এবার দেখা যাবে না ক্যারিবিয়ান শিবিরকে। ভারতের মাটিতে আগামী অক্টোবরে শুরু হতে চলা বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করতে পারেনি শাই হোপের দল। এই খারাপ সময়ে প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান পেসার ইয়ান বিশপ শোনালেন আরও আক্ষেপের কথা। তিনি মনে করেন সত্তর, আশির দশকে যেভাবে বিশ্বক্রিকেটকে শাসন করত ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তেমনটা হয়ত আর কোনওদিনই হবে না।
এক সাক্ষাৎকারে বিশপ বলেন, ''আমি নিশ্চিত আশির দশকে বা নব্বইয়ের দশকের শুরুতে যেভাবে ক্রিকেট বিশ্বে দাপট দেখাত ওযেস্ট ইন্ডিজ দল, তেমনটা আর কখনওই সম্ভব হবে না। বিশ্বের অন্যান্য ক্রিকেট দলগুলো ক্যারিবিয়ান দলের থেকে অনেকটা ভাল পরিস্থিতিতে রয়েছে। আমাদের দেশের আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়েও যেতে হচ্ছে ক্রিকেট বোর্ডকে। তবে আমি কোনও কিছু অজুহাত হিসেবে দেখতে চাই না। জিম্বাবোয়েকেও অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতিতর মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। ওরাও দারুণ পারফর্ম করেছে চলতি টুর্নামেন্টে। আমি নিশ্চিত ক্যারিবিয়ানরা ঘুরে দাঁড়াবে।''
বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হারানো প্রসঙ্গে বিশপ বলেন, ''ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের জন্য নিঃসন্দেহে কালোদিন। কোনওভাবেই এই দুঃখ কমার নয়। মানতেই কষ্ট হচ্ছে যে বিশ্বকাপে আমাদের দেশকে দেখা যাবে না। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খারাপ পারফরম্যান্স, এরপর ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারা, এর থেকেই বোঝা যায় যে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের হাল কতটা খারাপ এই মুহূর্তে।''
উল্লেখ্য, শনিবার হারারেতে টস জিতে প্রথম ফিল্ডিং নিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক রিচি বেরিংটন। অনেকে ভেবেছিলেন, এতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুবিধাই হল। কারণ, দ্রুত এবং বড় স্কোর তুলে রান রেট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল শাই হোপদের সামনে। যা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের পথে তাঁদের কাছে বাড়তি অক্সিজেন হতে পারত। কিন্তু হল হিতে বিপরীত। শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়। ৪৩.৫ ওভারে মাত্র ১৮১ রানে শেষ হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একমাত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন জেসন হোল্ডার। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে সুপার ওভারে ৩০ রান খরচ করায় যাঁকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার এদিন ৪৫ রান করেন। তিনিই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ স্কোরার। ৩৬ রান করেন রোমারিও শেফার্ড। স্কটল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে ব্রেন্ডন ম্যাকমালেন ৩ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট ক্রিস সোল, মার্ক ওয়াট ও ক্রিস গ্রিভসের।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার ক্রিস্টোফার ম্যাকব্রাইডকে হারান স্কটিশরা। জেসন হোল্ডার তুলে নেন তাঁকে। কিন্তু এরপরই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নেন ম্যাথু ক্রস ও ব্রেন্ডন ম্যাকমালেন। ক্রস ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৬৯ রান করেন ম্যাকমালেন। ৪৩.৩ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্কটল্যান্ড। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে।