পারথ: পারথে ইংল্যান্ডের হয়ে তখন ক্রিজে উপস্থিত দলের শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটার। ফাস্ট বোলারদের ঝাঁঝালো বোলিং সামলাতে নাজেহাল ইংল্যান্ড আশা করছে জেমি স্মিথের (Jamie Smith) প্রতিআক্রমণাত্মক ব্য়াটিং তাদের চাপে কমাবে। তবে এমন সময়ই ব্র্যান্ডন ডগেটের লেগ সাইডের এক বলে ফ্লিক করতে গিয়ে ব্যাটে বলে সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন স্মিথ। অন্তত আম্পায়ার এমনটাই মনে করেছিলেন। তবে অস্ট্রেলিয়া ডিআরএস নিয়ে নীতিন মেননের সিদ্ধান্ত বদল করতে সক্ষম হয়। এই সিদ্ধান্ত নিয়েই যত কাণ্ড।
আম্পায়ার তাঁকে আউট দেওয়ার আগেই ব্যাটার স্মিথ সাজঘরের দিকে ফিরে যাচ্ছিলেন। স্নিকোতে আওয়াজ হওয়ার স্পাইক দেখা যায়। তবে সেটি স্লো করে দেখানো হলে স্ক্রিনে দেখা যায় বল ব্যাটের পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার পরেই সেই স্পাইক দেখা যাচ্ছে। বেশ মিনিট চারেক সব বিচার বিবেচনা করে দেখেন তৃতীয় আম্পায়ার। তারপরেই স্মিথকে আউট ঘোষণা করা হয়। এই সিদ্ধান্ত ঘিরই পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তবে বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর আম্পায়ার সাইমন টফেল (Simon Taufel) এই সিদ্ধান্ত সঠিক বলে দাবি করেই তার ব্যাখা দেন। তিনি বলেন, 'আওয়াজ যাচাই করার জন্য বিশ্বের দুই প্রান্তে দুই ভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি থাকলে এই সমস্যাই হয়। সাধারণত আমরা হক-আই আল্ট্রা এজ ব্যবহার করি। তবে অস্ট্রেলিয়া হয়তো একমাত্র দেশ যেখানে রিয়াল টাইম স্নিকো প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।'
তিনি যোগ করেন, 'আরটিএস কীভাবে বিবেচনা করা হবে, সেই বিষয়ে কোনও সিরিজ়ে আগে তেমন জ্ঞান না থাকলে বেশ চাপই হয়। তবে আরটিএসের ক্ষেত্রে নিয়ম যে ব্যাটের পাশ দিয়ে বল যাওয়ার এক ফ্রেমের মধ্যে যদি আওয়াজ হয়েছে বলে দেখা যায়, তাহলে সেটা যথেষ্ট। এক্ষেত্রে কিন্তু ঠিক এমনটাই হয়।'
স্মিথ আউট হওয়ার পরে গাস অ্যাটকিনসন এবং ব্রাইডন কার্সের অর্ধশতরানের পার্টনারশিপে ভর করে ইংল্যান্ড দু'শোর অধিক রানের লিড নিতে সক্ষম হয়। চতুর্থ ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং পিচে ২০৫ রান তাড়া করা সহজ হবে না বলেই মনে করছিলেন সকলে। তবে ট্র্যাভিস হেডের ৮৩ বলে ১২৩ রানের ইনিংস সব হিসেব নিকেশ বদলে দেয়। অস্ট্রেলিয়া হেসেখেলে আট উইকেটে ম্যাচ জেতে।