লিডস: চলতি অ্যাশেজ সিরিজের (The Ashes) প্রথম দুই টেস্টেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পরাজিত হয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। জয়ে ফেরার লক্ষ্যে তৃতীয় টেস্টের আগে দলে বেশ কিছু বদল ঘটিয়েছে ইংল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট। ম্যাচের শুরুতেই তার সুফলও পেয়ে গেল ইংল্যান্ড। তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনে ৯১ রান খরচ করে চার চারটি অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের সাজঘরে ফেরাতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড।


ইংল্যান্ডের হয়ে এ টেস্টে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন মার্ক উড (Mark Wood)। তাঁর গতির বিষয়ে ক্রিকেটবিশ্বের সকলেই পরিচিত। অ্যাশেজ টেস্টে তো ইতিহাসই গড়ে ফেললেন ইংল্যান্ডের তারকা বোলার। নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলই ৯১ মাইল প্রতি ঘণ্টায়র গতিতে করেন উড। তার পরের দুই বলে গতি আরও বেড়ে ৯৩ ও ৯৫ মাইল প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছয়। শেষ তিন বলও ৯৩, ৯৪ ও ৯৩ মাইল প্রতি ঘণ্টায় করেন উড। তাঁর এই আগুনে গতির ওভারের পরেই ইংল্যান্ড ক্রিকেটের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো হয়, রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে এটিই হেডিংলেতে অ্যাশেজ ইতিহাসের দ্রুততম ওভার।


 






এরপর প্রথম সেশনেই অস্ট্রেলিয়ার ইনফর্ম ব্যাটার উসমান খাওয়াজার উইকেট ছিটকে দেন উড। ৯৫ মাইল প্রতি ঘণ্টার গতিতে করা বল খাওয়াজার লেগ স্টাপ ছিটকে দেয়। সেশনের শুরুটা আরেক অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার বেশ ভালভাবেই করেন। তিনি প্রথম বলে স্টুয়ার্ট ব্রডের বিরুদ্ধে চার মারেন। তবে ওই শুরু, ওই শেষ। সেই ওভারের পঞ্চম বলেই ব্রডের বিরুদ্ধে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। খাওয়াজা করেন ১৩ রান। নিজের শততম টেস্ট খেলা স্টিভ স্মিথ বেশ ভালই খেলছিলেন। কিন্তু ব্রড তাঁকে লাঞ্চের আগেই সাজঘরে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে চতুর্থ ধাক্কা দেন। মার্নাস লাবুশেনকে ২১ রানে আউট করেন ক্রিস ওকস। তৃতীয় টেস্টের প্রথম সেশন শেষে ফাস্ট বোলারদের দাপটে ম্যাচের রাশ কিন্তু সম্পূর্ণভাবে ইংল্যান্ডেরই দখলে।   


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: বাড়িতে ক্যাকটাস কিংবা ভাঙা তালা রেখেছেন? দুর্ভাগ্য ডেকে আনছেন না তো?