দুবাই: শেফালি বর্মার নেতৃত্ব মহিলাদের প্রথম অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ (U-19 Women's World Cup) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারতীয় দল। গত বারের চ্যাম্পিয়নরা নিজেদের খেতাব বাঁচানোর লক্ষ্যে মাঠে নামতে চলেছে। ১৯ জানুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে ভারতীয় তরুণীরা।


পরের বছরের শুরুতে মালয়েশিয়ায় ১৮ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহিলাদের দ্বিতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের আসর বসবে। সেই বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। ভারতীয় দলকে গ্রুপ 'এ'-তে আয়োজক মালয়েশিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে রাখা হয়েছে। ইংল্যান্ড, আয়ার্ল্যান্ড, পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে গ্রুপ 'বি'-তে। দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজ়িল্যান্ড, সামোয়া এবং আফ্রিকা থেকে যোগ্যতা অর্জন করা আরেকটি দল নিয়ে তৈরি হয়েছে গ্রুপ 'সি'। আর গ্রুপ 'ডি'-তে অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ এবং স্কটল্যান্ডের সঙ্গে এশিয়া থেকে যোগ্যতা অর্জন করা একটি দল থাকছে।


ভারতীয় দল ১৯ জানুয়ারি নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলার পর ২১ জানুয়ারি আয়োজক মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২৩ জানুয়ারি ভারতের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ। ২৫ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপার সিক্সের খেলা আয়োজিত হবে। চারটি গ্রুপ থেকেই প্রথম তিনটি দল সুপার সিক্স পর্বে নামার ছাড়পত্র পাবে। এই পর্বে সুপার সিক্সে পৌঁছনো বাকি দলগুলির বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে জয়ের ফলে যে পয়েন্ট পাবে দলগুলি, সেই পয়েন্ট নিয়েই মাঠে নামবে।


সুপার সিক্সেও ছয়টি দলের দুইটি গ্রুপ রয়েছে। সুপার সিক্সে গ্রুপ 'এ' এবং গ্রুপ 'ডি'-র দলগুলি মিলে গ্রুপ ১ এবং বাকি দুই গ্রুপের দল মিলিয়ে গ্রুপ ২ গঠিত হবে। তবে এখানে সবাই সবার বিরুদ্ধে খেলবে না। কোনও দলই নিজেদের গ্রুপের পর্বে খেলা দলগুলির বিরুদ্ধে খেলবে না। খেলবে অপর গ্রুপের দলে ভিন্ন স্থানে শেষ করা দুই দলের বিরুদ্ধে। ধরা যাক ভারত গ্রুপ 'এ' চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার সিক্সে পৌঁছল। সেখানে গ্রুপ ১-র ম্যাচে ভারত গ্রুপ 'ডি'-র চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে কোনও ম্যাচ খেলবে না। খেলবে গ্রুপ 'ডি'-তে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে শেষ করা দুই দলের বিরুদ্ধে। সুপার সিক্সের এই লড়াইয়ের পর সেখান থেকে প্রতিটি গ্রুপের সেরা দুইটি দলই সেমিফাইনালে পৌঁছবে।


দুই সেমিফাইনালই হবে ৩১ জানুয়ারি। ২ ফেব্রুয়ারি অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের খেতাবি লড়াই আয়োজিত হবে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলিতে কোনও রিজার্ভ ডে না থাকলেও, ১ ফেব্রুয়ারি সেমিফাইনাল ও ৩ ফেব্রুয়ারি টুর্নামেন্টের ফাইনালের রিজার্ভ ডে হিসাবে রেখেছে আইসিসি। যাতে কোনও কারণে নির্ধারিত দিনে ম্যাচ খেলা না হলে, তা পরবর্তী দিনে খেলা হয়।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: অস্ত্রোপ্রচারে না! মাসশেষেই ফের প্রতিযোগিতায় নামতে চলেছেন নীরজ চোপড়া