ব্রিসবেন: অজিভূমে ফের একবার ভারতীয় দলের দুরন্ত জয়। ভেন্যু সেই ব্রিসবেন। এই ব্রিসবেনের গাব্বাতেই ঋষভ পন্থের সেই স্মরণীয় ইনিংসে ভর করে জয় পেয়েছিল ভারত। সেই ব্রিসবেনেই অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে কার্যত দুরমুশ করল ভারত। সৌজন্যে আরেক বাঁ-হাতি ব্যাটার, বৈভব সূর্যবংশী (Vaibhav Suryavanshi)। ওয়ান ডে সিরিজ়ের তার ব্যাটিং দৌরাত্ম্য দেখা গিয়েছিল। লাল বলের ক্রিকেটে ফর্ম্যাট বদলালেও বদলাল না ব্যাটিং শৈলী। মাত্র ৭৮ বলে সে শতরান হাঁকাল। আর সেই শতরানই ভারতকে ইনিংসে ম্যাচ জিততে সাহায্য করল।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম ইনিংসে তিন নম্বর ব্যাটে নামা স্টিভেন হোগান ৯২ রান করলেও, ফাস্ট বোলার ডি দীপেশ দৌরাত্ম্যে তারা খুব বড় রান তুলতে পারেনি। তামিলনাড়ুর প্রাক্তন ক্রিকেটার বাসুদেবান দেবেন্দ্রনের ছেলে দীপেশ প্রথম ইনিংসে ৪৫ রান খরচ করে পাঁচ উইকেট তুলে নয়। আরেক ফাস্ট বোলার কিষাণ কুমার তিনটি উইকেট নেয়।
জবাবে ভারতীয় দল বোর্ডে ৪২৮ রান তোলে। বৈভব নিজের বিধ্বংসী ইনিংসে শুরুতেই দলকে এগিয়ে দেয়। এর আগে দুই ওয়ান ডে ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে ৩৮ ও ৭০ রানের ইনিংস এসেছিল। প্রথম আনঅফিসিয়াল টেস্টে সে ৮৬ বলে ১১৩ রান করে। তবে দলের হয়ে সর্বাধিক স্কোর করে গুজরাতের বেদান্ত ত্রিবেদী। তার সংগ্রহ ১৪০ রান। গুজরাতের আরেক ক্রিকেটার, অলরাউন্ডার খিলান পটেল আগ্রাসী ৪৯ রানের ইনিংস খেলে। ভারতীয় দল ১৮৫ রানের বিশাল লিড নিতে সক্ষম হয়।
এত পিছিয়ে পড়ার অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ম্যাচ জেতাটা খানিক কঠিনই ছিল। সেইটা কার্যত অসম্ভব করে তোলে কিষাণ ও দীপেশ। নতুন বলে শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারকে আউট করে অজ়িদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় তারা। ২৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল অজ়িরা। এরপর নজর কাড়েন খিলান। মাত্র ১৯ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট তুলে নিয়ে খিলান অজ়ি মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দেয়। নয় নম্বরে আরিয়ান শর্মার লড়াকু ৪৩ রানের ইনিংস অজ়িদের খানিকটা কাছে নিয়ে আসে। তবে তা ভারতের রানের পরিমাণকে টপকানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। দীপেশ শেষ তিনটি উইকেটের মধ্যে দুইটি উইকেট নেয়। অজ়িরা ১২৭ রানেই দ্বিতীয় ইনিংসে অল আউট হয়ে যায়। ৫৮ রানে জেতে ভারত।
এরপর দ্বিতীয় আনঅফিসিয়াল টেস্ট তথা সফরের শেষ ম্যাচটি এই ব্রিসবেনেই ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হবে।